ছবির সঙ্গে তাঁকে একেবারেই মেলানো যায় না। ছবির রবিউল আলমের চোখে দীপ্তি। ৬ ফুট ১ ইঞ্চি দীর্ঘ তরুণের শরীরী ভাষায় এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়। দুই দিন আগে মোহাম্মদপুরের সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রবিউলকে দেখে শিউরে উঠতে হয়। নল লাগানো গলায়-নাকে। কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্রের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। মুখটা শুকিয়ে এতটুকু। দুই চোখে শূন্যতা।
কদিন আগেও রবিউলের এই চোখ কত স্বপ্ন দেখেছে। দুর্দান্ত এক পেসার হবেন, সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে অনেক দূর যাবেন। স্বপ্নগুলো ডালপালা মেলার আগেই হঠাৎ এক ঝড়ে এলোমেলো তাঁর জীবন। ২৫ আগস্ট অনুশীলনের সময় মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন কুমিল্লার ২৪ বছর বয়সী পেসার। পরে জানতে পারেন, তাঁর দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি অকেজো হয়ে যাচ্ছে, টেরই পাননি। কিডনি বিকল হওয়ার কোনো লক্ষণই ছিল না তাঁর মধ্যে। পেসার হওয়ার আদর্শ ফিটনেস ছিল তাঁর।
গত বছর কুমিল্লা জেলা প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন রবিউল। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ‘মানিগ্রাম পেসার হান্টে’ কুমিল্লা অঞ্চলের সেরা বোলারও তিনি। বিপিএলের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসে খেলতে ট্রায়াল দিয়ে ভালো করেছেন। যখন দৃষ্টি মেলেছেন অনেক দূরে, তখনই নেমে এসেছে আঁধার। ঢাকায় চিকিৎসার পর ভারতে নেওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় দেশে। পরিবার থেকে একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা হলেও রবিউলের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে টাকা।
‘প্রায় ১৫-১৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে তার চিকিৎসায়। আমরা নিঃস্বপ্রায়। কিডনি প্রতিস্থাপন, ফুসফুসে অপারেশন ও পরবর্তী চিকিৎসার জন্য এখনো লাগবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবার এত টাকা কোত্থেকে পাবে?’—গলা ধরে আসে ২৪ ঘণ্টা তাঁর পাশে থাকা বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলমের। মানুষের সহায়তা ছাড়া তাঁর এগোনোর পথ নেই। জীবন-মৃত্যুর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা রবিউলকে সহায়তা করা যাবে জাহাঙ্গীরের বিকাশ নম্বর ০১৭২৬৮৪২৪৯৭ অথবা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাকাউন্ট নম্বর ১৯৪১০১০০৮১২৩১, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, কুমিল্লার ঝাউতলা শাখায়।