ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ: হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, জাহান্নামের বেশিরভাগ সদস্য হবে নারী। কিন্তু এর পেছনের কারণ সম্পর্কে আমরা অবগত নই। অনেকের মাঝেই এই বিষয় নিয়ে মনে বিদ্বেষ কাজ করে। কিন্তু এর পেছনের সহিহ হাদিস জানতে পারলে আপনার মনের সকল নেতিবাচক চিন্তা দূর হয়ে যাবে।
হাদিসে এসেছে, উসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.)বলেছেন: আমি জান্নাতের গেটে দাঁড়ালাম, দেখলাম যারা তাতে প্রবেশ করেছে তারা অধিকাংশ ছিল দুনিয়াতে দরিদ্র অসহায়। আর ধনী ও প্রভাবশালীদের আটকে দেয়া হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে যাদের জাহান্নামে যাওয়ার ফয়সালা হয়ে গেছে তাদের কথা আলাদা। আর আমি জাহান্নামের প্রবেশ পথে দাঁড়ালাম। দেখলাম, যারা প্রবেশ করছে তাদের অধিকাংশ নারী। (বুখারী ও মুসলিম)
অন্য একটি হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন : হে নারীগণ! তোমরা দান-সদকা করো। বেশি বেশি করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। কেননা আমি জাহান্নামে তোমাদের অধিক হারে দেখেছি। এ কথা শোনার পর উপস্থিত মহিলাদের মধ্য থেকে একজন -যার নাম ছিল জাযলা- প্রশ্ন করলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের কেন এ অবস্থা? কেন জাহান্নামে আমরা বেশি সংখ্যায় যাবো? রাসূল (সা.) বললেন: তোমরা স্বামীর প্রতি বেশি অকৃতজ্ঞ ও অভিশাপ দাও বেশি। (মুসলিম)
আমাদের সমাজের নারীদের বাস্তব চিত্র এ রকমই যা রাসূল (সা.) বলেছেন। দাম্পত্য জীবনে অনেক সুখী নারী আছে যারা স্বামীর প্রতি অনেক সময় চরম অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে। অনেক সময় সামান্য বিরক্ত হলে নিজ সন্তানদেরও অভিশাপ দেয়। নারীদের জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য এ দুটো স্বভাব পরিহার করতে হবে অবশ্যই। আর রাসূল (সা.) এর বলার উদ্দেশ্য এটাই। তিনি নারীদের স্বভাব সংশোধন করার জন্যই এ কথা বলেছেন। নারীদের খাটো করা বা তাদের ভূমিকা অবমূল্যায়নের জন্য বলেননি।