বন্ধ হয়ে যাওয়া দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

SHARE

darulসচিবালয়ে বুধবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যঅধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

নাহিদ বলেন, “দারুল ইহসান অসংখ্য শাখা খুলে নানা ধরনের সার্টিফিকেট ব্যবসা করছে। আমরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম, তারা স্টে অর্ডার নিয়ে টিকে ছিল। এখন হাই কোর্ট সরাসরি রায় দিয়েছে, জরিমানা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।

দারুল ইহসানের ক্যাম্পাসসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আইনগত ভাবেই তা করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

ওই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন লঙ্ঘন করার কারণেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল জানিয়ে নাহিদ বলেন, “এজন্য যার যে ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতির সমস্ত দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। অর্থাৎ যে ছাত্রের লেখাপড়া মাঝপথে থেমে গেছে সে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করতে পারবে।”

শিক্ষার্থীরা দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইলে সরকার তাদের সহযোগিতা করবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এতে তারা অন্য জায়গায় পড়তে পারবে।”

মালিকানা সঙ্কট, অনিয়ম-দুর্নীতি ও ‘সনদ বাণিজ্যের’ অভিযোগে সোমবার দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।

এছাড়া হাই কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাসও বন্ধ ঘোষণা করেছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনেই আছে কেউ আউটার ক্যাম্পাস করতে পারবে না। পরিপূর্ণ-পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে সেখানে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করবে।

“সে যদি ক্যাম্পাসই না জানে, ভিসিকে না চেনে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে পরিচিত না হয়, রাজশাহীতে বসে সার্টিফিকেট পেয়ে গেল, এতে পরিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা হল না।”

কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে ওই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জেনে তারপর পদক্ষেপ নিতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান নাহিদ।

“যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আইন মানে না, যাদের বাতিল করে দেওয়া হয়েছে, যারা কোর্ট থেকে স্টে অর্ডার নিয়ে চলছে- আমরা প্রকাশ্য বিজ্ঞাপন দিয়ে তা জানিয়ে দিয়েছি।”

আউটার ক্যাম্পাসের ব্যাখ্যায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে অবস্থিত, সেটি সেখানেই কার্যক্রম চালাবে, ঢাকায় ক্যাম্পাস খুলতে পারবে না।

“ঢাকায় মূল ক্যাম্পাস, কিন্তু চট্টগ্রামে তিনটি, রাজশাহীতে পাঁচটি শাখা খুলে বসে আছে, ছাত্ররা সেখানে যাতায়াত করে, তাদের সার্টিফিকেট দেয়। ওই ধরনের ক্যাম্পাস আর খুলতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয় একটি হবে, অখণ্ড জমির মধ্যে তার একটাই ক্যাম্পাস হবে।”