ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন
ইমারত হোসেন ইমু
দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনের সময় সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের পরিচয়ে নিবন্ধিত কার্ড সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করছে। গত ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও এমন কার্ড ও গাড়ির স্টিকার দেখিয়ে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে সন্ত্রাসীরা অবাধ প্রবেশ ও চলাফেরা করে। কার্ড নিবন্ধনে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পক্ষপাতিত্বের কারণে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের কার্ড অন্যরা ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম দফা নির্বাচনে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পিরোজপুর, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলাসহ সকল জেলাতেই ভোট গ্রহণকালে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক নামধারী প্রশ্নবিদ্ধ লোকদের অবাধ তত্পরতা দেখা যায়। এসব লোক জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে কার্ড ও গাড়ির স্টিকার সংগ্রহ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে মহড়া দেয়। তারা কেন্দ্রে প্রবেশ করে ত্রাস সৃষ্টি, ব্যালটে সিল দেয়া এমনকি হামলা-মারামারিতেও অংশ নেয়। পিরোজপুর অফিস জানায়— জেলার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এমন অপতত্পরতা বেশি ছিল। গত বছরের উপজেলা নির্বাচন ও এ বছরের পৌরসভা নির্বাচনেও এই প্রবণতা দেখা যায়। তখন পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার নির্বিচারে অসাংবাদিকদের কার্ড ও স্টিকার দেয়ায় স্থানীয় সাংবাদিকরা এ প্রতিবাদ করেন।
আগামীকাল শ্রীণগর থানা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ইতি মধ্যে অনেকের হাতে পর্যবেক্ষক কার্ড দেখা যাচ্ছে। তবে এরা পর্যবেক্ষনের কতটা বুঝেন অথবা আদৌ পর্যবেক্ষ কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট্য সন্দেহ আছে। অনলাইন পত্রিকার কার্ড নকল করে, মানবধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে ইতিমধ্যে অসংখ্য কার্ড সংগ্রহ করেছে সন্ত্রাসীরা। নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে। তানা হলে দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন বলে কিছুই থাকবে না।