বিএনপি লাইফ সাপোর্টে: হাছান মাহমুদ

SHARE

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “বিএনপিকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে।তাই তাদের এখন কোনো কার্যকলাপ নেই। শত চেষ্টা করেও দলটি লাইফ সাপোর্ট থেকে বের হতে পারছে না।”

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ ও জনতার প্রত্যাশা আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি দেশবাসীর করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।image_96565_0

হাছান মাহমুদ বলেন, “মু্ক্তিযুদ্ধের সময় খালেদা জিয়া পাকস্তানি সেনার হেফাজতে ছিলেন। ওই জেনারেলের মৃত্যুর পর তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় প্রটোকল না মেনে শোকবার্তা পাঠিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে খালেদা জিয়া দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে কালিমা লেপন করেছিলেন।”

গণতন্ত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিকাশ লাভ করেছে দাবি করে তিনি বলেন, “সম্প্রচার নীতিমালা কোনো আইন নয়। নীতিমালা ছাড়া কোনো কিছু চলতে পারে না। এই নীতিমালার মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।”

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, “বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে গুম ও খুন করেছিল। যারা গুম ও খুন করেছে তাদের এ দেশে বিচার করা হবে। সে যে দলেরই হোক না কেন।”

যে সব মানবধিকার কর্মী গুম খুন নিয়ে রাজনীতি করছে তাদের এ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল। আমার তাদের শুভ কামনা করি।”

সভায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, “৭৫ সালে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল তা শুধু  অর্থবিত্ত লুটপাটের জন্য নয়, স্বাধীনতার ইতিহাস ধ্বংস করার জন্য। আর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এ দেশে রাজনীতি ও বসবাসের অধিকার দিয়েছিল।”

তিনি বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধীদের মোকাবেলা করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। তাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।”

খালেদা ও তারেকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “মা ও ছেলে মিলে যে ষড়যন্ত্র করছে তা কোনোদিন সফল হবে না। যারা আওয়ামী লীগকে কুলাঙ্গার বলে তারাই আসলে এ দেশের কুলাঙ্গার।”

সভায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, সাবেক মন্ত্রী সতীষ চন্দ্র রায়, সাবেক চিফ হুইপ আব্দুস শহিদ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ আলম মুরাদ  প্রমুখ।