আইনের সংশোধনীতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে না

SHARE

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক দাবি করেছেন, বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দিতে সংবিধান সংশোধনের যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে না। বিচার বিভাগের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার জন্যই এই উদ্যোগ বলেও দাবি করেন তিনি।image_94833_0

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এ দাবি করেন।

মন্ত্রী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, এই সংশোধনীর দ্বারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে না, বরং বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় জনগণের যে সুফল লাভ সেটাই এই সংশোধনীর মারফত আরো পাকাপোক্ত হবে।”

তিনি বলেন, “সব ক্ষমতাই যখন সংসদের ওপর ন্যস্ত, আর জনগণের পরেই সংসদের ক্ষমতা… বিচার বিভাগ স্বাধীন, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো ডাউটস নাই। কিন্তু এই বিচার বিভাগের অ্যাকউনটেবিলিটি ও ট্রান্সপারেন্সির জন্য ইমপিচমেন্টের একটা প্রভিশন সংসদের থাকা উচিত।”

আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া সংসদ অধিবেশনেই এ সংক্রান্ত বিলটি পাস হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, বিল পাস হলে তিন মাসের মধ্যেই আইন করা হবে। কোন পদ্ধতিতে একজন বিচারককে অপসারণ করা যাবে তার বিশদ ব্যাখা থাকবে ওই আইনে।

এর আগে সোমবার সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিচারপতিদের অভিশংসন বা অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ফেরাতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

মন্ত্রিসভা বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন পাওয়ার পর বিধি অনুযায়ী আইনের খসড়া যাবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। এরপর দশম সংসদের তৃতীয় অধিবেশনেই এ-সংক্রান্ত  বিল উপস্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে। আইনটি সংসদে পাস হলে সংবিধানে ষোড়শ সংশোধন অন্তর্ভুক্ত হবে।

১৯৭২ এর মূল সংবিধানে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ছিল। পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান তা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে তুলে দেন। ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংবিধানের অনেক রদবদল করা হলেও ৯৬ অনুচ্ছেদের ওই ধারাটি ফিরিয়ে আনা হয়নি।

তবে সম্প্রতি বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দিতে সরকারের কাছে সুপারিশ করে আইন কমিশন। তার ভিত্তিতেই ফের সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। যার খসড়া উঠলো মন্ত্রিসভায়।