তোবা’র শ্রমিকদের বের করে দিয়েছে পুলিশ, ধর্মঘটের ডাক

SHARE

কারখানার ভেতর থেকে তোবার শ্রমিকদের বের করে দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া একটার দিকে রাজধানীর বাড্ডায় অবস্থিত তোবার কারখানার ভেতরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ প্রবেশ করে সব শ্রমিককে বের করে দেয়। এর আগে পৌনে একটার দিকে তোবার পাঁচটি কারখানার অপর অংশের শ্রমিকরা বিক্ষোভসহ সড়ক অবরোধ করতে চাইলে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে। এ সময় শ্রমিকরা গাড়ি ভাঙচুর করলে পুলিশ রাবার বুলেট ও জলকামান নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছে। এছাড় শ্রমিক নেত্রী মোশরেফা মিশু ও জলি তালুকদারসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।image_93386_0

পুলিশের হাতে আটক হওয়ার আগে আজ থেকে সব গার্মেন্টে ধর্মঘট ও শহীদ মিনারে অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন গার্মেন্ট শ্রমিক নেত্রী মোশরেফা মিশু।

সর্বশেষ বেলা ২টা পর্যন্ত বাড্ডার প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন শাখা সড়কে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছিল। এছাড়া বাস ভাঙচুর করায় শ্রমিরাও সংঘর্ষে জড়ায়। অপরদিকে ওই এলাকার গার্মেন্ট মালিকদের পক্ষের লোকেরাও শ্রমিকদের প্রহিত করতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অংশ নিতে দেখা গেছে।

তোবা গার্মেন্টের অভ্যন্তরে শ্রমিকরা বরাবরের মতো আজও তাদের অনশন অব্যাহত রাখে। একই সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের মতো পোশাক রফতানিকারক সংগঠন বিজিএমইএ ভবনে বেতনও নিতে যায় তোবার পাঁচটি কারখানার অপর অংশের শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার বেলা ২টা পর্যন্ত প্রায় ২১৩ জন শ্রমিক তাদের দুই মাসের বেতন গ্রহণ করেছে বলে তোবার পাঁচটি কারখানা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছিল।

আগের দিন বুধবার প্রায় ৫৮৩ জন শ্রমিক তাদের বকেয়া বেতন গ্রহণ করেছেন বলেও বিজিএমইএ সংগঠকরা জানান।

বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ ভবনে সকাল ৯টা থেকে বেতন দেয়া শুরু করেন কর্মকর্তারা। শ্রমিকদের মে ও জুন মাসের বকেয়া বেতন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেয়া হবে বলে জানান সংগঠনের সভাপতি আতিকুল ইসলাম।

বুধবার প্রথম দিনের মতো আন্দোলনরত তোবা শ্রমিকদের বেতন দেয় বিজিএমইএ। ওই দিন তোবা গ্রুপের পাঁচটি কারখানার ১৪২৭ শ্রমিকের মধ্যে ৫৮৩ জন বেতন নেন।