শহীদ সংখ্যায় খালেদার সংশয়ে ক্ষুব্ধ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি

SHARE

1095বিজয়ের মাসে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে সংশয় প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ হয়েছে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। স্বাধীনতার এত বছর পর বিএনপি নেত্রী পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন তুলে মহান মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। খালেদা জিয়ার করা বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক মাধ্যমগুলোতেও।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। মন্ত্রী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘দেশের অন্যতম একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য জাতি কোনো দিন আশা করেনি। তার (খালেদার) এই মন্তব্য গোটা জাতিকে হতাশ করেছে।’

গত সোমবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের নানা প্রসঙ্গ টেনে মন্তব্য করেন।

সভায় খালেদা জিয়া বলেন, “আজকে বলা হয়, এতো লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানারকম তথ্য আছে।”

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জেনারেল জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া আরও বলেন, “তিনি (বঙ্গবন্ধু) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।

এর আগে একই ধরণের মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনা মুখে পড়েন খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান। আর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত লেখার জন্য বাংলাদেশে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যানও নানা সমালোচনার মুখোমুখী হন।

এদিকে, বিজয়ের এমন দিনে মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন মন্তব্য করায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগের অনেকেই খালেদা জিয়ার বক্তব্যের কড়া সামলোচনা করেছেন।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্য আমাদের অবাক করেছে। তার এই মন্তব্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে অস্বীকার করার শামিল। এর জন্য জাতির কাছে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন ‘ উনি (খালেদা) তো একাধিকবার ক্ষমতায় ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের তালিকা তিনিও প্রণয়ন করতে পারতেন। তা না করে এত দিনে এসে এমন সংশয় প্রকাশ করার অর্থ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাদের অপরাজনীতি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে তিনি (খালেদা) মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এমন মন্তব্য করার কোনো অধিকার রাখেন না।’