উন্নয়ন গবেষণা ও নীতি পরিকল্পনায় অসামান্য অবদানের জন্য বিজনেস দৈনিক বণিক বার্তা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস সম্মাননা দিয়েছে সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে। পাশাপাশি দু’জন সফল উদীয়মান উদ্যোক্তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সংবর্ধনা ও উদ্যোক্তা সম্মাননা ২০১৫ অনুষ্ঠিত হয়।
চার বছর পেরিয়ে গেছে বণিক বার্তার। এ পথচলায় সবসময় নতুন কিছু করার প্রচেষ্টা ছিল বণিক বার্তার। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সঙ্গে যৌথভাবে বণিক বার্তা আয়োজন করে গুণীজন সংবর্ধনা ও উদ্যোক্তা সম্মাননা ২০১৫।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। এ সময় তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, সরকারি বিভিন্ন নীতি গবেষণাকে মাথায় রেখে বণিক বার্তার যাত্রা শুরু হয়। তবে মনে মধ্যে কিছুই বিষয় ছিল, যেমন- রাজনীতি, সমাজ সংস্কার, সংস্কৃতি। এ দুইয়ের কিভাবে সমন্বয় করা যায় তার চেষ্টা সব সময়ই করেছে বণিক বার্তা। আর চার বছরের পথচলায় যে প্রয়াস নিয়ে শুরু করেছিল বণিক বার্তা, তাতে কতটুকু সফল হয়েছে, তা আপনারাই বিচার করবেন। তবে বণিক বার্তা সবসময় নতুন ও মহৎ কিছুর সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছে; উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছে। এরই অংশ হিসেবে বিআইডিএসের সঙ্গে যৌথভাবে দেশের সাবেক সফল দুইজন গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সংবর্ধনা দেয়ার এ উদ্যোগ। আসলে এমন প্রচারবিমুখ খ্যাতনামা ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন। তাই তাদের সংবর্ধনা দিতে পেরে বণিক বার্তা ও বিআইডিএস গর্বিত। পাশাপাশি দেশের তৃণমূল পর্যায়ের সফল দুইজন উদ্যোক্তার সঙ্গে সকলের পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে।
সংবর্ধনার জন্য নির্বাচিত সাবেক দুই গভর্নর সম্পর্কে এর পর বক্তব্য রাখেন তার অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। এর আগে ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কর্মময় জীবনের ওপর সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
দুই গভর্নরের সম্পর্কে অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সম্মাননার জন্য নির্বাচিত দুইজনই আমার খুব ঘনিষ্ঠ। এর মধ্যে ফরাসউদ্দিন আমার বড় ভাইয়ের মত। আর সালেহউদ্দিন আমার খুবই ঘনিষ্ট বন্ধু। এদের মধ্যে অনেক মিল দুইজনের মধ্যে অনেক মিল, যা বণিক বার্তা ও বিআইডিএস লক্ষ্য করেছে কিনা জানা নেই। এরা দুইজনই অর্থনীতির ছাত্র ছিলেন, দুইজনই প্রথম শ্রেণি পান। দুইজনই বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। দুইজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন, আবার দুইজনই সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। দুইজনই গবেষক, উন্নয়নকর্মী। দুইজন ইচ্ছাকৃতভাবেই এ ধরনের দায়িত্ব পালন করেন। দুইজনই পিকেএসএফে আমার সহকর্মী ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকেও দুইজনকেই সহকর্মী হিসেবে পাই। এদের মধ্যে কে বেশি সফল তা বলতে যাব না। তবে দুইজন দুইভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন। এদের মধ্যে আরো মিল আছে। তারা দুইজনই এখনো অবসরে যাননি। দুইজনই শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
দুই গর্ভনরের কর্মজীবনের ওপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. মসিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে যখন কারো নাম নির্বাচনের দায়িত্ব পড়ে তখন ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ছাড়া কারো নাম মাথায় আসেনি। তিনি সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করেছেন। যখনই সুযোগ এসেছে মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর সালেহউদ্দিন যখন ঢাকা কলেজের ছাত্র আমি তখন সেখানে শিক্ষকতা করি। এজন্য আমি গর্ববোধ করি। এঁদের মধ্যে কে বেশি সফল তা বলতে যাব না। তবে দুইজন দুইভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ফরাসউদ্দিন ও সালেহউদ্দিন যখন গভর্নর ছিলেন তখন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খুব বেশি ছিল না। তবে এর মধ্যেও তারা সুষ্ঠুভাবে গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেন। মুদ্রা সরবরাহ বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতিকে উসকে দেননি। আবার মুদ্রা সংকোচন করে প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্তও করেননি। দুইজনই সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এরপর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় তাদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন ড. মশিউর রহমান, সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একই সঙ্গে তাদের একটি করে পোর্ট্রেটও উপহার হিসেবে তুলে দেয়া হয়। পেট্রের্ট যৌথভাবে তুলে দেন অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. কে এ এস মুরশিদ ও বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। এ সময় সাবেক দুই গভর্নরের সঙ্গে তাদের সহধর্মীনিরাও ছিলেন।
এরপর মন্ত্রী, আমলা, রাজনীতিক, অর্থনীতিবিদসহ বিশিষ্টজনরা সম্মানাপ্রাপ্ত দুই গভর্নরের সঙ্গে গ্রুপ ছবি তোলেন। সংবর্ধনা পরবর্তী সাবেক দুই গর্ভনরই তাদের অনুভূতি তুলে ধরেন। এ সময় তারা দুইজনই বণিক বার্তা ও বিআইডিএসের এ উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৩-৭৫ সময়ে। ১৯৯৮-২০০১ সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) কান্ট্রি ডিরেক্টর, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কন্ট্রোলার অব ক্যাপিটাল ইস্যুস, বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থার চেয়ারম্যান, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান, জাতীয় শিক্ষা কমিটির সদস্য, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালে গঠিত সরকারের পে অ্যান্ড সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্যও ছিলেন ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। বর্তমানে তিনি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকস গভর্নিং কাউন্সিল ও একাডেমিক কাউন্সিল এবং বিআইডিএসের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৭০ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের প্ল্যানিং বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে। পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন করেন। কর্মজীবনের শুরুর দিকেই দুই দফায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগেও খন্তকালীন অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫-০৯ সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্টের (বার্ড) মহাপরিচালক, এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর মহাপরিচালক, পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, সিরডাপের গবেষণা বিভাগের পরিচালক, বিআইডিএসের মানবসম্পদ বিভাগের ভিজিটিং স্কলার ছিলেন ড. মোহাম্মদ সালেহউদ্দিন। এছাড়া তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি অধ্যাপনা করেন। আর বর্তমানে তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগে বণিক বার্তা ও বিআইডিএসের উদ্যোগে প্রতিভাবান দুইজন উদ্যোক্তাকে এর পর সম্মাননা জানানো হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মো. আবুল মিয়া ও রাঙ্গামাটির বড়ুয়া পাড়ার বিপ্লব চাকমা। সফল উদ্যোক্তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ড. মশিউর রহমান। এ সময় ড. কে এ এস মুরশিদ ও দেওয়ান হানিফ মাহমুদ সঙ্গে ছিলেন। সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়ার আগে তাদের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
উল্লেখ্য, বিপ্লব চাকমা বাঁশজাত বিভিন্ন আসবাব তৈরি করেন। ২০০৮ সালে তিনি মেসার্স আশিকা ক্রাফট অ্যান্ড ব্যাম্বো ফার্নিচার গড়ে তোলেন। বর্তমানে তার উৎপাদিত বাঁশের আসবাব দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এর ভিত্তিতে তিনি আরো ৪টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। আর মো. আবুল মিয়া বিভিন্ন ধরনের আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি উন্নয়ন ও প্রস্তুত করেন। এগুলো কৃষক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়াও পেয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি আরো একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বিপ্লব চাকমা বলেন, গাছ, মাছ আর বাঁশের জন্য পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিখ্যাত। আর এ এলাকার বাঁশকে কিভাবে ব্যবহার করা যায় সেজন্য আমার এ প্রয়াস। এক্ষেত্রে সহযোগিতা পেলে দেশের ও আন্তর্জাতিক বাজারেও বাঁশের আসবাব রফতানি করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, এখন যে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের কথা বলা হচ্ছে তা তৃণমুল উদ্যোক্তাদের সাফল্য ছাড়া সম্ভব নয়। এজন্য তৃণমুল বিশেষত পাহাড়ি অঞ্চলের উদ্যোক্তদের সহায়তা দেয়া দরকার। আর এ সম্মাননা দিয়ে এত মানুষের সামনে কথা বলার সুযোগ করে দেয়ার জন্য বণিক বার্তা ও বিআইডিএসকে ধন্যবাদ।
মো. আবুল মিয়া বলেন, কৃষিকে আরো এগিয়ে কিভাবে সেজন্য নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছি। কারণ বিদেশি যেসব প্রযুক্তি কৃষিতে ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে বাংলাদেশের অর্ধশিক্ষিত কৃষকরা অবগত নন। তাই তাদের জন্য লাগসই দেশিয় প্রযুক্তির কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে যাচ্ছি। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরো নতুন নতুন যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন ও সরবরাহ করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের বাছাই করতে চলতি বছরের জুন-জুলাইব্যাপী বণিক বার্তায় এ বিষয়ক বিজ্ঞাপন প্রচার হয়। পত্রিকার পাশাপাশি অনলাইন সংস্করণেও তা আপলোড করা হয়। বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি বণিক বার্তার জেলা প্রতিনিধিদের এ উদ্যোগে সম্পৃক্ত করা হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, যারা ক্ষুদ্র ও সৃষ্টিশীল উদ্যোগে অর্থায়ন করে আসছে, তাদের কাছেও উদ্যোক্তার খোঁজ প্রদানে সহায়তার আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়।
প্রাথমিকভাবে ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে উদ্যোক্তা সম্মাননার জন্য আবেদনের সংখ্যা ছিল ৭০টির বেশি। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে দুইজন উদ্যোক্তাকে নির্বাচন করা হয়। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস।
অনুষ্ঠানের শেষে সকলকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. কে এ এস মুরশিদ বলেন, বণিক বার্তার এ আয়োজনের পাশে থাকতে পেরে বিআইডিএস আনন্দিত। কারণ একটি জাতি যদি তার কৃতি সন্তানদের মূল্যায়ন না করতে পারে সে জাতি সফল হতে পারে না। বণিক বার্তা জাতির এমন দুইজন কৃতি সন্তানকে সংবর্ধনার আয়োজন করেছে যারা সকল বিতর্কের উধ্র্বে থেকে কাজ করে গেছেন। আর এমন দুইজন তৃণমূল উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে যারা নিজ চেষ্টায় আজ প্রতিষ্ঠিত। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগে বণিক বার্তার সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।