সরেজমিনে দেখা যায়, ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন একটি গো-শালার মতো। প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯২ সালে আংশিক সংস্কার করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিদ্যালয়টির প্রত্যেকটি স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। বর্তমানে পলেস্তার খসে পড়ে পিলারগুলো ক্ষয় হয়ে সরু হয়ে যাওয়ায় কাঠামো খুবই দূর্বল হয়ে পড়েছে। ছাদে ফাটল হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি পড়ে। যে কোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ অবস্থায় ২০১৩ সালের ২৬ মে বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন পড়ালেখা বন্ধ থাকায় স্থানীয়রা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য বদরুদ্দিন হাওলাদার এর নিজস্ব একটি ভবনের নিচ তলার এক কক্ষে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন। সেখানেই প্রায় ছয় মাস ধরে এক সঙ্গে পাঁচটি শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকেরা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শহিদুল আলম বলেন, বিদ্যালয়টি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এই বাড়িতে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এখানেও সমস্যার শেষ নেই।
অভিভাবকরা আক্ষেপ করে বলেন, এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।