ইসলামি ব্যাংক থেকে ‘ইসলাম’ বাদ দেয়ার হিড়িক

SHARE

নাম থেকে ‘ইসলামিক’ শব্দটিকে বাদ দিচ্ছে বিভিন্ন দেশের কিছু ইসলামিক ব্যাংক৷ মূলত মুসলিমদের কথা ভেবে প্রতিষ্ঠিত এই ব্যাংকগুলো সব জাতি-ধর্মের জন্য পরিষেবা উন্মুক্ত করার এ কৌশল অবলম্বন করে বেশ সুফলও পাচ্ছে৷image_88926_0

গত জানুয়ারিতে দুবাই কেন্দ্রিক নূর ইসলামিক ব্যাংক নাম থেকে ‘ইসলামিক’ শব্দটি ছেঁটে ফেলে হয়ে গেছে নূর ব্যাংক৷ আরব আমিরাতের আবুধাবি ইসলামিক ব্যাংক (এডিআইবি) আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবসা প্রসারিত করার লক্ষ্যে নাম বদলে আবু ধাবি ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক হওয়ার পথে হাঁটছে৷ ইসলামিক ব্যাংকগুলোর এমন নাম পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য অবশ্যই ব্যবসাকে আরো বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া৷

সৌদি আরব ভিত্তিক ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালনা পরিষদের সদস্য এরলান বাইদাউলেত নামে এ ধরনের পরিবর্তনের পক্ষে যুক্ত দেখাতে গিয়ে বললেন, ‘‘আমাদের বৈশ্বিক পর্যায়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে৷  ভোক্তার প্রয়োজনের কথা ভেবে আমাদের আরো বড় আঙ্গিকের দিকে যেতে হবে৷ পুরো সেবাকে কেন শুধু একটা গণ্ডিতে আটকে রাখতে হবে, কেন নামে শুধু ‘ইসলামিক’ রাখতে হবে?”

সমস্যা হচ্ছে, মূলত মুসলমানদের জন্য এসব ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হলেও গত কয়েক বছর ধরে মুসলিম প্রধান দেশগুলাতেও ব্যবসার খুব একটা প্রসার হচ্ছেনা৷ নতুন গ্রাহক আসছে আগের তুলনায় অনেক কম হারে৷ কাতারের কথাই ধরা যাক৷ মুসলিম অধ্যুষিত দেশটিতে গত বছর ইসলামিক ব্যাংকগুলোর শতকরা ১২ দশমিক ২ ভাগ হারে সম্পদ বেড়েছে৷ অথচ ২০১১ সালে সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল ৩৫ দশমিক ১ ভাগ৷ নতুন গ্রাহক কম আসছে বলেই এমনটি হয়েছে৷

মুসলিম অধ্যুষিত বেশ কিছু দেশে কিন্তু ধর্মের নাম ব্যবহার করে ব্যাংক খোলা নিষিদ্ধ৷ তুরস্কে একই ভাবধারার ব্যাংকগুলোর নাম ‘অংশিদারিত্বের ব্যাংক’৷ নামে ‘ইসলামিক’ থাকলে আলজেরিয়াতেও প্রবেশ করা যাবেনা৷ তাই নির্দিষ্ট গণ্ডির গণ্ডির বাইরে পা রাখতে হালে অনেক ইসলামিক ব্যাংকই নাম থেকে ‘ইসলামিক’ শব্দটি ছেঁটে ফেলছে৷ নামে পরিবর্তন এলেও সেবার মান একই থাকবে৷ সূত্র: ডিডব্লিউ