রেলে ই-টিকিটিং, সুফল পাচ্ছেন না যাত্রীরা

SHARE

ticketঈদ মৌসুমে টিকিটের জন্য রেল স্টেশন আর বাস কাউন্টারে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরেও সবার ভাগ্যে জোটে না কাঙ্ক্ষিত টিকিট। যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে, তিন বছর আগে বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করলেও এর সুফল পাচ্ছেন না যাত্রীরা।

অবশ্য বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনলাইনে বাসের টিকিট বিক্রি করে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পেরেছেন যাত্রীদের। তবে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা আরো সহজ করে দুর্ভোগ কমানোর দাবি সাধারণ যাত্রীদের।

ঈদ মৌসুমে নাড়ীর টানে বাড়ি ফেরা মানুষের সঙ্গে প্রতিবছরই আড়ি দেয় বাস-ট্রেনের টিকিট। কমলাপুর রেল স্টেশনে রাত জেগে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করা মানুষের চিত্র কারো কাছেই অপরিচিত নয়।

টিকিট প্রত্যাশীদের দুর্ভোগ কমাতে বছর তিনেক আগে রেল মন্ত্রণালয় ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করে। বর্তমানে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা আরো সহজ করার দাবি সাধারণ যাত্রীদের।

টিকিট প্রত্যাশীরা বলেন, “অনলাইনে ঈদের টিকিট পর্যাপ্ত থাকে না। আর টিকিট কাটা গেলেও তা থেকে অতিরিক্ত ভ্যাট কেটে নেয়া হয়।  তবে এর ফলে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কাটার দুর্ভোগ পোহাতে হয় না।”

অবশ্য, যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে আগামীতে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা আরো সহজ করা হবে।

রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, “যাত্রীদের সেবার কথা মাথায় রেখে রেলের অনলাইন টিকিট আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।  ঈদের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়ে আমরা ই-টিকিটের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবো।”

রেলের পরেই রাজধানীর বাস কাউন্টারগুলোতেও টিকিট পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় ঘরমুখো মানুষদের। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অনলাইন আর মুঠোফোনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন রুটের বাস টিকিট বিক্রি করছে।

এ বিষয়ে সহজ ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা কাদির বলেন, “অনলাইনে টিকিট কাটার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের কিছু দ্বিধা আছে।  যাদের টিকিট আমরা বিক্রি করছি তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমাদের লিগ্যাল চুক্তি করা আছে। তাই প্রতারিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”

ঘরমুখো মানুষদের ই-টিকিটিং ব্যবস্থার সুফল দিতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতারও দাবি জানিয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।