ছয় বছরের শিশু তাওহীদ হোসেনের অপরহরণের সাথে জড়িত ছিলো প্রতিবেশী যুবক শাহীন হোসেন (২০)।
আবার শাহীনই নিজেই শিশুটির খোঁজে এলাকায় মাইকিং করে। কিন্তু তার সেই নাটক বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। তার কথাবার্তা ও গতিবিধি সন্দেহজনক হলে বিষয়টি পুলিশকে জানায় শিশুর স্বজন।
পরে পুলিশের জেরায় সব কিছু স্বীকার করে শাহীন। তার দেয়া তথ্যেও ভিত্তিতে অপহৃত শিশুসহ চার অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ভাউরিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ১০ লাখ মুক্তিপণের জন্য শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিলো। আটককৃতরা হলো; ভাউরিপাড়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে শাহীন হোসেন, একই গ্রামের রোমেল আলীর ছেলে রবিন, ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার সেলেং এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে আল-আমিন, সাভার ব্যাংক কলেনীর নুরুল হকের ছেলে সোহেল রানা, সিংগাইরের দড়িবাগ গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে সাইদুল ইসলাম। এদের সবার বয়স ২০ থেকে ২৫ এর মধ্যে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, ভাউরিপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেনের প্লে শ্রেনীর শিক্ষার্থী তাওহীদ হোসেন বুধবার দুপুরে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
স্বজনরা বিভিন্নস্থানে তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি শাহীন শিশুটির খোঁজে এলাকায় মাইকে প্রচারণা চালাতে থাকে। এসময় শাহীনের কথাবার্তা ও গতিবিধি সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শাহীন ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের জন্য তাওহীদকে অপহরণের কথা স্বীকার করে।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বুধবার রাত তিনটার দিকে সাভারের ব্যাংক কলোনীর হাজী তমিজউদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশুটি উদ্ধার ও চার অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশ। এই বাড়িতে অপহরণকারী চক্রের সদস্য সোহেল ভাড়া থাকতেন।
সিংগাইর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সৈয়দুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।