পাঞ্জাবে বন্ধ হচ্ছে না মানব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অবৈধ বাণিজ্য

SHARE

পাকিস্তানের পাঞ্জাবে মানব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অবৈধ বাণিজ্য চক্রে সাম্প্রতিক গ্রেপ্তারের ঘটনাটি আবারও দেখিয়ে দিল, দেশটির সমাজে কত গভীরভাবে শিকড় গেড়ে বসেছে এই নির্মম অপরাধ। ছয়জনকে আটক করা হয়েছে এমন এক চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে, যারা গরিব ও অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশাকে পুঁজি করে অঙ্গ বিক্রির ব্যবসা চালাচ্ছিল।

এই অবৈধ বাণিজ্য কেবল একক অপরাধ নয়; এটি এক বিশাল নেটওয়ার্কের অংশ, যেখানে দালাল, অসাধু চিকিৎসক এবং সুবিধাভোগীরা মিলে গড়ে তুলেছে শোষণের বাজার। দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবের কারণে গরিবরা নিজেদের অঙ্গ বিক্রি করতে বাধ্য হয়, আর ধনী রোগীরা টাকার বিনিময়ে এই নৈতিক অপরাধে শরিক হয়।

রাষ্ট্র যদি শুধু মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে দায় সারতে চায়, তবে এই বাণিজ্য কখনো বন্ধ হবে না। কঠোর আইনি প্রয়োগের পাশাপাশি প্রয়োজন দারিদ্র্য ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার মৌলিক সংস্কার, যা মানুষকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে না।

মানব অঙ্গের বাণিজ্য শুধু অপরাধ নয়—এটি একটি সমাজের নৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রতিফলন। রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া হতে হবে দৃঢ় ও স্থায়ী; প্রতীকী নয়।
অন্যথায় এটি হবে নীরব সহায়তা।

সূত্র : ডন পত্রিকার সম্পাদকীয়।