ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় মেলিসার আঘাতে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা আরো বেড়েছে। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। ঝড়টি এখন বারমুডার দিকে এগোচ্ছে।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষকদের তথ্য মতে, মেলিসা এ পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে একটি।
মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা চার গুণ বেড়ে গেছে।
এনএইচসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বারমুডায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের পরিস্থিতি বিরাজ করছিল এবং দ্বীপটি ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতার আওতায় ছিল। সেখানে সর্বোচ্চ ১৫৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হয়েছে।
শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
 জ্যামাইকার তথ্যমন্ত্রী ডানা মরিস ডিক্সন জানান, ঘূর্ণিঝড় মেলিসার আঘাতে নিশ্চিত মৃতের সংখ্যা ১৯ জন। এর মধ্যে ওয়েস্টমোরল্যান্ডে ৯ জন এবং সেন্ট এলিজাবেথে আটজন প্রাণ হারিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র (এনএইচসি) জানিয়েছে, ঝাড়ের প্রভাবে কিউবা, জ্যামাইকা, হাইতি এবং প্রতিবেশী ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে জলাবদ্ধতা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বাহামায় বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে।
জ্যামাইকা ও কিউবায় যোগাযোগ এবং পরিবহনব্যবস্থা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়নে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
এদিকে দারিদ্র্যপীড়িত হাইতির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ জনে এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। আরো ২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মেলিসার আঘাতে এক হাজারের বেশি বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে এবং প্রায় ১৬ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
অন্যদিকে কিউবা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সান্তিয়াগো দে কিউবা, হোলগুইন ও গান্তানামো প্রদেশের প্রায় ৭ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র : এএফপি
 
            
 
	


