শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘শিক্ষকদের বেতন সর্বোচ্চ হওয়া উচিত। শিক্ষকরা দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক। শিক্ষকরা আমাদের গুরু। চলমান ন্যায্য আন্দোলনকে আমরা পুরোপুরি সমর্থন করি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর গলাচিপায় পৌর মঞ্চে সর্বসাধারণের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘নির্বাচনে রাজনৈতিক পেশিশক্তি ও কালো টাকা বন্ধ করতে আমরা বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতি চেয়েছিলাম। পিআর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচনে যে দল যত পার্সেন্ট ভোট পাবে, সেই দল তত পার্সেন্ট সংসদ সদস্য থাকবে। তাহলেই আর একক দলের মাতব্বরি থাকত না।
তিনি বলেন, ‘সরকারি অফিস-আদালতে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করতে প্রয়োজনে তাদের বেতন দ্বিগুণ-তিন গুণ করে দিন। কিন্তু দুর্নীতি হতে পারবে না। আমরা চেয়েছি, ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ হবে। কিন্তু তা বন্ধ হয়নি।
নুর বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমাদের ওপর হামলা হয়েছিল। হামলাকারীরা দেখতে চেয়েছিল আমরা এক আছি কি না। তারা দেখেছে বিএনপি, জামায়াতসহ সব দল একসঙ্গে ছিল। তখন সেই ক্ষমতালোভী দলটি ঐক্য দেখে পিছু হটেছে।’
সভায় গলাচিপা উপজেলা জিওপি আহ্বায়ক মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মো. জাকির হোসেন মুন্সীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় জিওপির উচ্চতর সদস্য কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম ফাহিম ও মো. রবিউল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলা জিওপি আহ্বায়ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম লিটু, সদস্যসচিব মো. শাহ আলম সিকদার।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন দশমিনা উপজেলা জিওপি আহ্বায়ক মো. লিয়ার হোসেন, বাউফল উপজেলা জিওপি আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, বরিশালের জিওপি সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম রাসেল, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদ সহসভাপতি আবু নাঈম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি সাইফুল ইসলাম রুম্মান, পটুয়াখালী জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদ সভাপতি মো. ফারুক হাওলাদার প্রমুখ।