দীর্ঘদিন পর সন্ধান পাওয়া বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ভারতের মেঘালয় থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবনে বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
হাসিনা বলেন, আমরা দ্রুত সালাহ উদ্দিন আহমেদের কাছে যেতে চাই। এ জন্য ভারতীয় হাইকমিশনে ভিসার আবেদন করেছি। দ্রুত ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি আরও বলেন, আশা করি আমরা আজকে ভিসা পাব এবং আজই ভারতে যেতে পারব।
নিখোঁজ সালাহউদ্দিন আহমেদ মঙ্গলবার তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসায় তার (খালেদা) সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হাসিনা আহমেদ পৌঁছান। এরপর সেখানে অবস্থানকালীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। ভারতের নাগাল্যান্ডের একটি হাসপাতাল থেকে সালাহ উদ্দিন কথা বলেন।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে গুলশান-২ এর ৭২ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাসার সামনে হাসিনা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের পাস্তুরহিল এলাকার মিম হ্যানস মেন্টাল হাসপাতালে আছেন সালাহ উদ্দিন। তিনি সুস্থ আছেন।
হাসিনা আহমেদ আরও জানান, দুপুর ১২টার দিকে মিম হ্যানস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে সালাহ উদ্দিনের বিষয়টি জানায়। এরপর সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে তার (হাসিনা আহমেদ) কথা হয়। তিনি এ খবর জানানোর জন্য খালেদা জিয়ার বাসায় যান। খালেদা জিয়া তার (সালাহ উদ্দিন) সন্ধান পাওয়ার খবর জানার পর শুকরিয়া আদায় করেছেন।
এদিকে, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে সোমবার ভারতের মেঘালয়ের শিলং থেকে সে দেশের পুলিশ আটক করে। মঙ্গলবার স্থানীয় দ্য শিলং টাইমস পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশী ম্যান হেল্ড শিরোনামে প্রকাশিত খবরে পত্রিকাটি বলছে, সোমবার সকালে একজন বাংলাদেশীকে আটক করে পুলিশ। সালাহ উদ্দিন আহমেদ (৫৪) নামে ওই বাংলাদেশীকে শিলংয়ের গল্ফ লিংক নামক এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ তার ব্যাপারে তদন্ত করছে।
বাংলদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণ জানান, সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
গত ১০ মার্চ রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে নিখোঁজ হন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এরপর তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তার স্বামীকে ওই বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।