চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘অমরত্ব’ নিয়ে কথা বলেছেন। বেইজিংয়ের সামরিক কুচকাওয়াজ শুরুর আগে তাদের এই আলাপ চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মাইক্রোফোনে ধরা পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন চত্বরে লাল গালিচা দিয়ে হেঁটে এক ঐতিহাসিক দৃশ্যের অবতারণা করেন পুতিন, শি ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেন, হাত মেলান ও ছবির জন্য পোজ দেন। এ সময় শির ডান পাশে ছিলেন পুতিন এবং বাঁ পাশে ছিলেন কিম।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে ম্যান্ডারিন ভাষায় শিকে বলতে শোনা যায়, ‘আজকাল…৭০ বছর বয়স।’ এরপর চীনা ভাষার অনুবাদক পুতিনের মন্তব্য শিকে শোনান।
অনুবাদকের মতে, পুতিনের জবাব ছিল, ‘বায়োপ্রযুক্তির উন্নয়নে মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বারবার ট্রান্সপ্লান্ট করা যায়। যেভাবে আগে মানুষের বয়স বাড়তে থাকত, একইভাবে এখন বয়স কমানো সম্ভব। এমনকি, তাঁরা অমরত্বও অর্জন করতে পারেন।’ এরপর শি আবারও বলেন, ‘পূর্বাভাস আছে, চলতি শতাব্দীতে ১৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকা সম্ভব হতে পারে।
’
পরে সংবাদ সম্মেলনে এই আলাপের সত্যতা নিশ্চিত করেন পুতিন। পুতিন বলেন, ‘হ্যাঁ, যখন আমরা কুচকাওয়াজ দেখতে যাচ্ছিলাম, তখন সম্ভবত চেয়ারম্যান (শি) এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন।’
পুতিন বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে আরো বলেন, ‘সার্বিকভাবে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার উন্নয়নের মাধ্যমে, অঙ্গ প্রতিস্থাপনের (ট্রান্সপ্লান্ট) সব ধরনের আধুনিক প্রক্রিয়া ব্যবহারে মানবজাতি এখন আশা করতেই পারে যে এখন তারা যত দিন সক্রিয় জীবন যাপন করতে পারে, ভবিষ্যতে তা আরো অনেক বাড়বে।’
কাকতালীয়ভাবে তাদের দুজনের বয়সই ৭২ বছর। তারা কেউই শিগগির অবসর নেওয়ার কোনো ইঙ্গিত দেননি।
শির দুই পূর্বসূরি জিয়াং জেমিন ও হু জিনতাও উভয়ই ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে অবসর নেন। তবে শি ২০১৮ সালে এ ধরনের বাধ্যবাধকতা তুলে দেন।
এরপর ২০২৩ সালে নতুন মেয়াদে আবারও নির্বাচিত হন তিনি। অন্যদিকে পুতিন দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রেসিডেন্ট অথবা প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে ধরে রেখেছেন দেশ পরিচালনার রাশ।