অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তের জবাবে ইরান তাদের কূটনৈতিক প্রতিনিধিত্বের স্তর কমিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঈসমাইল বাঘাই এ কথা জানান। সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর বরাতে আধা-সরকারি তাসনিম নিউজ এজেন্সি এই খবর জানিয়েছে।
বাঘাই বলেন, অস্ট্রেলিয়ার পদক্ষেপের জবাবে ইরানও অস্ট্রেলিয়ার কূটনৈতিক প্রতিনিধিত্বের স্তর হ্রাস করেছে। অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত ইতোমধ্যেই ইরান ছেড়ে গেছেন। এ সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেন তিনি এবং বলেন, এটি দুই দেশের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তিনি বলেন, আমরা কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাসকে স্বাগত জানাই না, কারণ এর কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
এটি দুই জাতির সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
তবে তিনি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় ইরানের কনস্যুলার সেকশন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং সেখানে বসবাসরত ইরানি নাগরিকদের প্রয়োজনীয় কনস্যুলার সেবা প্রদান অব্যাহত থাকবে।
অ্যান্টিসেমিটিজমের অভিযোগকে ‘হাস্যকর ও ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়ে বাঘাই এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছিল।
দেশটির অভিযোগ ছিল, তেহরান মেলবোর্ন ও সিডনিতে ইহুদি সম্প্রদায়ের স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ হামলার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।