‘থাইল্যান্ডে উদ্ধার ১১৭ অভিবাসীর ৯১ জন বাংলাদেশী

SHARE

indexথাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে সংখলা প্রদেশের মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় পাওয়া শতাধিক অভিবাসীর মধ্যে অন্তত ৯১ জন বাংলাদেশী, বলছেন থাই কর্মকর্তারা।

রাজ্যটির ডেপুটি গভর্নর একারাত সিসেনকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার আজ শনিবার এ খবর জানায়।তবে রয়টার বলছে, রাত্তাফুম জেলায় পাওয়া ১১৭ জন অভিবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর থাই কর্মকর্তারা বলছেন তাদের মধ্যে ২৬ জন ছাড়া বাকিরা সবাই বাংলাদেশী।

সংখলা প্রদেশের এক জন পুলিশ কর্মকর্তা টেলিফোনে ১১৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা নিশ্চিত করলেও তার মধ্যে কতজন বাংলাদেশী তা বলতে রাজি হন নি।

ঢাকা থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম এখন সংখলা প্রদেশে রয়েছেন।

সংখলার ডেপুটি গভর্নর মি. সিসেন বলেন, এই অভিবাসীরা মানব পাচারের শিকার কিনা, নাকি তারা নিজেরাই অবৈধ পথে থাইল্যান্ডে ঢুকেছে – তা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা মানব পাচারের শিকার হয়ে থাকলে তাদেরকে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হাতে তুলে দেয়া হবে। আর স্বেচ্ছায় অবৈধ পথে এ দেশে ঢুকে থাকলে তাদের ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

মি. সিসেন জানান, ১১৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, এর মধ্যে ২৬ জন বার্মার রোহিঙ্গা মুসলিম, এবং বাকিরা বাংলাদেশী।
এ ব্যাপারে ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায় নি।

গত সপ্তাহে সংখলা প্রদেশে জঙ্গলের মধ্যে মানবপাচারকারীদের শিবির ও সেখানে মারা যাওয়া লোকদের গণকবর পাওয়া যায় – যা থেকে ৩৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন বলেছে, এ বছরের প্রথম তিনমাসেই সমুদ্রপথে ২৫ হাজারের মতো বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাকে পাচারের ঘটনা ঘটেছে।

এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ে তুলনায় দ্বিগুণ।

তবে, এই সংখ্যা সঠিক নয় বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সমুদ্রপথে মানবপাচারের সংখ্যা কমে এসেছে।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর সমুদ্রপথে মানবপাচার বন্ধের জন্য বাংলাদেশ কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।– বিবিসি