মেহেরপুরে ঝাঝা গ্রামের শিশু জারজিনা হত্যার দায়ে জাহাঙ্গীর নামের এক যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক টি এম মুসা এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অপর দুই আসামি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর হোসেন (২২) ঝাঝা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে।
মায়ের পরকিয়া সম্পর্কের জেরে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি ভর দুপুরে গ্রামের একটি সরিষা ক্ষেতে জারজিনাকে গলাকেটে হত্যা করে জাহাঙ্গীর।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাদীসহ মোট ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। অভিযোগটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত প্রধান আসামি জাহাঙ্গীরকে মৃত্যুদণ্ড ও অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। তবে রায় ঘোষণার সময় বাদী ও তার পক্ষের কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
হত্যাকাণ্ডের দিনই নিহতের দাদি তানজিলা খাতুন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জারজিনার মায়ের পরকিয়া প্রেমিক একই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রধান আসামি ও তার সহযোগী আমিরুল ইসলাম ও সাদেক আলীকে আসামি করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পরদিন জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে সদর থানা পুলিশ।
প্রেমিকা চিন্তামনিকে পেতে পথের কাঁটা সরাতে শিশু জারজিনাকে আমিরুলের কথামতো হত্যা করা হয়েছে মর্মে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন জাহাঙ্গীর। মেহেরপুর
সদর থানার তৎকালিন উপপরিদর্শক (এসআই) জিহাদ আলী মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) প্রদান করেন। এতে তিন আসামিকেই অভিযুক্ত করা হয়।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সরকারি পক্ষের কৌঁসলি অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কাজী শহিদুল হক প্রতিক্রিয়ায় জানান, সত্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিজ্ঞ বিচারককে ধন্যবাদ। এরমধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
তবে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বয়স কম হওয়ার কারণে উচ্চাদালতে আপিল করার কথা বললেন আসামি পক্ষের কৌঁসলি খন্দকার একরামুল হক হিরা।