সরকার ভয়াবহ ভূমিকম্পসহ যেকোনো দুর্যোগের সময়ে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ‘ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (এনইওসি) ’ প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিলের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, যেকোনো দুর্যোগের পর এনইওসি জরুরি তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালাবে। রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম এমন যন্ত্রপাতি সজ্জিত হবে এনইওসি। এনইওসি স্টেক হোল্ডারদের কর্মকাণ্ড মনিটর এবং দুর্যোগের সময়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ-সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ-প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কাউন্সিলের আগের বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
বৈঠকে ৩৭টি উপকূলীয় উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় পূর্বপ্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়নে আরো ৯৯৩টি ইউনিট গঠন এবং এসব ইউনিটে ৫ হাজার ৮৯৫ জন নতুন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বর্তমানে ১৬ হাজার ৪৫৫ জন নারীসহ ৪৯ হাজার ৩৬৫ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে এসব উপজেলায় ৩ হাজার ২৯১টি সিপিপি ইউনিট কাজ করছে।
কাউন্সিল যেকোনো দুর্যোগের সময়ে নগর এলাকায় কাজ করতে সক্ষম হতে পারে্- এ জন্য সিপিপি স্বেচ্ছাসেবীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।