ইসরাইলি সেনাবাহিনী উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণ অংশে ‘বিস্তৃত স্থল অভিযান’ শুরু করার ঘোষণা দেয়ার পর এটি জানাল তেল আবিব।
গত মার্চ মাসে এই অবরোধ আরোপ করেছিল ইসরাইল। এরপর গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। এই ঝুঁকির মধ্যেই ইসরাইল গাজায় তাদের অভিযান জোরদার করেছে।
যেখানে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘গত সপ্তাহে হামলায় শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে শুধু সোমবার রাতভর হামলায় ১৩০ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।’
এদিকে, নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে, আইডিএফ (ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী) এর সুপারিশের কারণে এই অবরোধ শিথিল করার এবং সীমিত পরিমাণে ত্রাণ সরবরাহে রাজি হয়েছে ইসরাইল।
এছাড়া হামাসকে পরাজিত করতে যুদ্ধ সম্প্রসারণে কার্যকরী প্রয়োজনের কারণে যাতে ক্ষুধা সংকট না হয় সেজন্য ফিলিস্তিনিদের একটি ‘মৌলিক পরিমাণ’ খাদ্য সরবরাহের অনুমতি দেবে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতারে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে নতুন দফা পরোক্ষ আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন:গাজার ‘দখল ও নিয়ন্ত্রণ’ নিতে ইসরাইলের বড় ধরনের অভিযানের ঘোষণা
নেতানিয়াহু জানান, ‘আলোচনায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তির পাশাপাশি হামাসের নির্বাসনের বিনিময়ে যুদ্ধ শেষ করার এবং উপত্যকতায় অসামরিকীকরণের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত ছিল – হামাস পূর্বে এসব শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।’
সূত্র: রয়টার্স