চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বেড়ে ১৪৫ শতাংশ

SHARE

চীনা পণ্য আমদানিতে আরো শুল্ক বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বেশিরভাগ চীনা পণ্যের উপর তাদের শুল্ক হার বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ আরো গভীর হলো। খবর এএফপির।

খবরে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হলেও এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে চীন। বরং চীনের বিরুদ্ধে নতুন করে শুল্ক বাড়িয়ে এর পরিমাণ ১২৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে বুধবার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

কিন্তু বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের একটি নথিতে চীনা পণ্যকে লক্ষ্য করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে, চীনের ওপর ওয়াশিংটন শুল্ক বাড়িয়ে একেবারে ১৪৫ শতাংশ করেছে।
হোয়াইট হাউসের নথিতে চীনের বিরুদ্ধে উচ্চ শুল্কের এই তথ্য নিশ্চিত হয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

প্রথম দফায় ১২৫ শতাংশ করা হলেও হোয়াইট হাউসের নথিতে চীনা পণ্যের মার্কিন আমদানির ওপর পূর্বের আরোপিত অতিরিক্ত আরো ২০ শতাংশ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের হার ১৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, ট্রাম্প যদি তার এই ‘‘অপমানজনক’’ শুল্ক নীতি জারি রাখেন, তাহলে চীনও ‘‘শেষ পর্যন্ত’’ লড়াই করবে।
৯ এপ্রিল মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশে উন্নীত করে চীন।

চলতি বছর মার্চে প্রথমবার চীনের সব ধরনের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। পরে ২ এপ্রিল এক ঘোষণায় জানান, চীনের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক ৩৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।

এদিকে শুল্ক যুদ্ধের মধ্যেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে যাচ্ছেন। শি’র সফর ১৪ এপ্রিল ভিয়েতনামে শুরু হওয়ার কথা।
এরপর তিনি মালয়েশিয়া এবং কম্বোডিয়া সফর করবেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়ায় যথাক্রমে ৪৬% এবং ৪৯% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যদিও পরে তিনি ৯০ দিনের জন্য শুল্ক আরোপ স্থগিত রাখেন।

শি’র তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমন্ত্রণ জানানো মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এর আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে মার্কিন আমদানি করের বিরুদ্ধে ‘একত্রে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর’ আহ্বান জানিয়েছিলেন।