কেনিয়ার গারিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়াবহ হামলার রেশ কাটার আগেই ফের হামলা চালাল সোমালিয়ার জঙ্গি সংগঠন আল-শাবাব৷ এবার তাদের হামলার মুখে পড়ল সোমালিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়৷
রাজধানী মোগাদিশুতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরের ফটকে প্রথমে একটি বিস্ফোরকবোঝাই গাড়ি নিয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা৷ প্রবল বিস্ফোরণে ফটকের অনেকটা অংশ উড়ে যেতে কিছুটা পিছনে আসতে থাকা একটি গাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে একঝাঁক সশস্ত্র জঙ্গি৷ এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে চালাতে তারা ঢুকে পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরের মধ্যে৷
দপ্তরের চার দিকে উঁচু পাঁচিল ও বাইরে সশস্ত্র রক্ষীবাহিনী মোতায়েন থাকলেও গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ধাক্কায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন সবাই৷ বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ে পাঁচিলেরও অনেকটা অংশ৷ এরই সুযোগ নিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা৷ স্থানীয় পুলিশকর্তা মুহম্মদ দাহির ও প্রত্যক্ষদর্শী ইদিল মালিম জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর ওই এলাকায় বেশ কয়েকজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে৷ কিন্ত্ত, যে তীব্রতার সঙ্গে গুলির লড়াই চলছে, তাতে কত জন মারা পড়েছেন সে সম্পর্কে নিশ্চিত জানা যায়নি৷
আল-শাবাবের মুখপাত্র আবদুলাজিজ আবু মুসাব দাবি করেছেন, গোটা বহুতলটিই এখন আল-শাবাবের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ আবু মুসাবের দাবি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দপ্তরটি ছাড়াও নিকটবর্তী অঞ্চলে তেল মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরেরও দখল এখন জঙ্গিদের হাতে৷ যদিও, সোমালিয়ার প্রশাসন তেল মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে জঙ্গি আক্রমণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেনি৷
রাজধানী মোগাদিশুর ‘কে-৫’ নামে যে অঞ্চলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরগুলি রয়েছে, সেই অঞ্চলে এর আগেও একাধিক আক্রমণ চালিয়েছে জঙ্গিরা৷ ১৯৯১ সালে সোমালিয়ার শাসক গোষ্ঠীর পতন ঘটার পর গোটা দেশে নৈরাজ্য দেখা দিতে শুরু করে৷ বর্তমানে দেশে আইনের শাসন জারি রাখতে বুরুন্ডি, জিবুতি, কেনিয়া, ইথিওপিয়া ও উগান্ডার মিলিত সেনা নিয়ে গঠিত আফ্রিকান ইউনিয়ন ফোর্সের প্রায় ২২ হাজার সেনা মোতায়েন আছেন সোমালিয়ায়৷