রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকবে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র : মস্কো

SHARE

জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রটি একটি রাশিয়ান স্থাপনা ছিল এবং এর নিয়ন্ত্রণ ইউক্রেন বা অন্য কোনো দেশের কাছে হস্তান্তর করা অসম্ভব। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মন্তব্য করেছে। মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, যৌথভাবে কেন্দ্রটি পরিচালনা করা গ্রহণযোগ্য নয় কারণ স্টেশনের ভৌত এবং পারমাণবিক নিরাপত্তা সঠিকভাবে নিশ্চিত করা অসম্ভব হবে।

এতে বলা হয়েছে, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলটি আংশিকভাবে রাশিয়ান বাহিনী নিয়ন্ত্রিত করে।
এটি ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের মধ্যে একটি, যে অঞ্চলটি ইউক্রেনে মস্কো পূর্ণ মাত্রার আক্রমণের সাত মাস পরে অনুষ্ঠিত গণভোটের ভিত্তিতে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছিল। এরপর প্রেসিডেন্টের একটি ডিক্রি আনুষ্ঠানিকভাবে স্টেশনটিকে রাশিয়ার সম্পত্তিতে যোগ করেছিল।

পশ্চিমা দেশগুলো এই গণভোটকে প্রতারণা বলে উড়িয়ে দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়ার পারমাণবিক খাতে স্টেশনটি ফিরিয়ে আনা একটি সাফল্য।
জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্টটি ইউক্রেন বা অন্য কোনও দেশের নিয়ন্ত্রণে হস্তান্তর করা অসম্ভব।’

আগ্রাসনের শুরুতে রাশিয়ান বাহিনী স্টেশনটি দখল করে নেয় এবং তারপর থেকে প্রতিটি পক্ষই নিয়মিতভাবে অন্য পক্ষকে এই প্লান্টে আক্রমণ চালানোর অভিযোগ করে আসছে। ছয়টি চুল্লিসহ ইউরোপের বৃহত্তম এই প্ল্যান্টে আক্রমণের ফলে নিরাপত্তার হুমকিতে পড়ছে।

যদিও প্ল্যান্টটি এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সেখানে পর্যবেক্ষক মোতায়েন করেছে।
যেমনটি তারা সকল ইউক্রেনীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে করে থাকে।

ইউক্রেন স্টেশনটিকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে এবং ২০২২ সালে রাশিয়ার এই অধিগ্রহণকে অবৈধ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এই মাসে তার ইউক্রেনীয় প্রতিপক্ষ ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। কথোপকথনের সময় তিনি বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনায় সহায়তা করতে পারে অথবা এর মালিকানা পেতে পারে।

জেলেনস্কি বলেছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ইউক্রেনীয় জনগণের।
তিনি আরো জানান, তিনি এবং ট্রাম্প বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সম্ভাব্য মার্কিন বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

সূত্র : রয়টার্স