আগামী রবিবার জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এবারের নির্বাচনের অন্যতম প্রধান ইস্যু হচ্ছে অভিবাসী নিয়ন্ত্রণ এবং জার্মানির অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করা। এমন চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে এবারের নির্বাচনে লড়ছেন চারজন প্রার্থী।
তারা হলেন— বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, বিরোধীদলীয় নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ, বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হাবেক এবং কট্টর ডানপন্থী দলের নেতা অ্যালিস ভাইডেল।
ওলাফ শোলজ : ৬৬ বছর বয়সী শোলজ ২০২১ সাল থেকে জার্মানির চ্যান্সেলর। মধ্য-বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দলের এই নেতার সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি হামবার্গের মেয়র এবং জার্মানির শ্রম ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তিনি দ্রুত অপ্রত্যাশিত সংকট মোকাবেলা করেছেন।
ইউক্রেনে রুশ হামলার পর তিনি জার্মানির সেনাবাহিনীকে আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টা শুরু করেন। তার সরকার জ্বালানি সংকট সমাধান এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবেলার চেষ্টা করে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তার তিন দলীয় জোট সরকার গত নভেম্বরে ভেঙে যায়।
ফ্রেডরিখ মার্জ : ৬৯ বছর বয়সী এই বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচনী প্রচারণায় বেশ এগিয়ে আছেন।
জনমত জরিপে এগিয়ে আছে তাঁর মধ্য-ডানপন্থী ইউনিয়ন ব্লক। অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ২০২১ সালে সরে যাওয়ার পর ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন পার্টির নেতা হন মার্জ। তিনি দলকে আরো রক্ষণশীল দিকে পরিচালিত করেছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসন প্রতিরোধকে প্রধান ইস্যু বানিয়েছেন। তবে সরকার পরিচালনায় তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলি শূন্য।
রবার্ট হাবেক : ৫৫ বছর বয়সী হাবেক পরিবেশবাদী গ্রিনদের প্রার্থী। তিনি জার্মানির বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর এবং অর্থনীতি ও জলবায়ু মন্ত্রী। তিনি ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গ্রিনদের সহনেতা ছিলেন। দলের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তবে ২০২১ সালে তিনি চ্যান্সেলর নির্বাচনে না দাঁড়িয়ে জার্মানির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালিনা বেয়ারবককে মনোনয়ন দেন।
অ্যালিস ভাইডেল : ৪৬ বছর বয়সী ভাইডেল অভিবাসনবিরোধী অলটারনেটিভ ফর জার্মানির হয়ে প্রথমবারের মতো চ্যান্সেলর নির্বাচন করছেন। ২০১৩ সালে দলে যোগ দেন এই অর্থনীতিবিদ। দলটি ২০১৭ সালে যখন প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে আসন জেতে, তখন থেকে তিনি সংসদীয় দলের সহনেতা। এ ছাড়া ২০২২ সাল থেকে তিনি দলের সহনেতার দায়িত্ব পালন করছেন।