বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর শেখ মুজিবুর রহমান একটি ভালো নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। যে কারণে ৭৩ সাল থেকে সংকট শুরু হয়েছিল, সেই সংকট কাটিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।’
তিনি বলেন, ‘এরপর সংকট কাটিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এবার সংকট কাটাবেন তারেক রহমান।
সেই বিশ্বাস আমাদের আছে। দেশের মানুষের আছে।’
আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনাসভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘রাষ্ট্র গঠনে বিএনপি যে ৩১ দফা দিয়েছে, তা গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়েই করা হয়েছে। এই ৩১ দফা পড়েন, তাহলে সংস্কার কী, কত প্রকার, তা এক ঘণ্টার মধ্যে জেনে যাবেন।’
তিনি বলেন, ‘উদ্দেশ্য সৎ থাকলে আপনি ৩১ দফা পড়বেন। কিন্তু তার ধারে-কাছে না গিয়ে শুধু এককথা সংস্কার সংস্কার! শেখ হাসিনা বলতেন, উন্নয়ন উন্নয়ন।
আপনারা বলেন সংস্কার সংস্কার! এখানে (শেখ হাসিনার) কাছাকাছি ব্যাপার আছে। এগুলো বাদ দিতে হবে। মানুষের ভোট ফেরত দেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা নির্বাচনে বাধা দিচ্ছেন তারা তো অনেক বড় নেতা। অনেক বড় আন্দোলনকারী, নির্বাচন দিলে তো আপনারা জয়ী হওয়ার কথা।
নির্বাচন দিলে সমস্যা কোথায়? আমি ব্যক্তিগতভাবে একটা কথা বলি, আগামী নির্বাচনে বিএনপি তো জিতবেই। তার পরের নির্বাচনও বিএনপি জিতবে। কেন জিতবে? কারণ বিএনপি জনগণের মধ্যে থাকতে চায়।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘১৯৯১ সালে একজন প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি হয়ে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে রাজনৈতিক দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। পরে আবার তিনি প্রধান বিচারপতি পদে ফিরে গিয়েছিলেন। এ রাজনৈতিক দলের নেত্রী ছিলেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। তিনি স্বৈরাচার এরশাদের যত আবর্জনা ছিল তা পরিষ্কার করেছিলেন।’
‘শেখ মুজিব আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। কিন্তু বেগম জিয়া রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারব্যবস্থা থেকে সংসদীয় ব্যবস্থায় এনেছিলেন। ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার কাছে শেখ হাসিনা পরাজিত হয়েছিলেন। এবারও বেগম খালেদা জিয়ার কাছে শেখ হাসিনা পরাজিত হয়েছেন। শত নির্যাতনের মধ্যেও বেগম জিয়া দেশ ছাড়েননি। অন্যদিকে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।’
আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপত্বিতে সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।