জামায়াতের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার সারাদেশে হরতালের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াত। সেই সঙ্গে রোববার কামারুজ্জামানের জন্য দোয়ার কর্মসূচিও ঘোষণা করে দলটি।
তবে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে জামায়াত।
শনিবার রাতে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের পর এক বিবৃতিতে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সরকার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বায়বীয় ও কাল্পনিক অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে। এ মামলায় দলীয় লোকদের দ্বারা মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে। সাক্ষীদের পরস্পরবিরোধী ও অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য থেকে তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের বিষয়টি বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর নিকট উন্মোচিত হয়।
তিনি আরও জানান, যে সোহাগপুরের কথিত ঘটনার অভিযোগে তাকে ফাঁসি কার্যকরের নামে হত্যা করা হলো তার সাথে মুহাম্মদ কামারুজামানের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। মুহাম্মদ কামারুজ্জামান বারবার বলেছেন, জীবনে কোনদিনও তিনি সোহাগপুর যাননি। ওই এলাকায় কোনদিন তাকে দেখেছে এ ধরনের কথা কেউ বলতে পারবে না।
উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির একজন ছাত্রকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার যে মহাষড়যন্ত্র ও তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার যে ব্যবস্থা আওয়ামী সরকার করেছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
যারা ষড়যন্ত্র করে তাকে হত্যা করেছে এবং ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে ইতিহাস কখনো তাদেরকে ক্ষমা করবে না। এই জালেম সরকারকে বিচারের নামে অবিচারের এবং পরিকল্পিত এ হত্যাকাণ্ডের জন্য জনতার আদালতে একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি এ হত্যার প্রতিবাদে ঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করে তোলার জন্য জামায়াতে ইসলামীর সকল জনশক্তি ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।