শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা।
নাগরিকদের জন্য তারা কী সুবিধা নিয়ে আসবেন বা নগরজীবনকে স্বস্তি দিতে কী ধরনের প্রতিশ্রুতি থাকছে- এসব নিয়ে তারা আসবেন ভোটারদের কাছে।
যদিও এখনও প্রতীক বরাদ্দ হয়নি তবে ভোটারদের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছাতে তাদের প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে এরইমধ্যে।
প্রচারের কৌশল হিসেবে পোস্টার, বিলবোর্ড, পাড়া-মহল্লায় মাইকে ঘোষণা বা বাড়ি বাড়ি যেয়ে ভোট চাওয়া এসব তো রয়েছেই বহুকাল ধরে।
কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে তাকে কাজে লাগাতে থেমে নেই প্রার্থীরা। এই সিটি নির্বাচনে প্রায় সব মেয়র প্রার্থীই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের প্রচার চালাচ্ছেন।
অনেকেই জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট ফেসবুকে ওয়েব পেজ খুলে, সেখানে প্রচার চালাচ্ছেন। কেউ কেউ ভিডিও তুলে দিচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ-যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক গোলাম রহমান মনে করেন, যেহেতু ‘নিউ মিডিয়া’ বা নতুন এই মাধ্যমগুলো সাম্প্রতিক সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, ফলে সম্ভাব্য প্রার্থীরা একেই বেছে নিচ্ছেন।
স্মার্ট ফোনের সহজলভ্যতা এর পেছনে আরেকটি কারণ হিসেবে কাজ করেছে।
এছাড়া মনস্তাত্ত্বিক কারণ হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ শ্লোগানটিও বিষয়টিকে জনপ্রিয় হতে সাহায্য করছে বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক রহমান।
তিনি বলেন, “তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা বেশি। সে কারণে বলা যায় তরুণ সম্প্রদায়কেই লক্ষ্য করে এ ধরনের প্রচার চালানো হচ্ছে। আবার শুধু তরুণ সম্প্রদায়ই নয়, ৪০/৪৫ বছর বয়সীরাও এখন এই সামাজিক যোগাযোগে দারুণভাবে সক্রিয়। ফলে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নেয়া হচ্ছে প্রচারণার ক্ষেত্র হিসেবে”।
তিনি বলেন, বর্তমান যুগে সবাই নিজের মত প্রকাশ করতে চায়। কোনও বিষয়ে নিজস্ব ধারনা, আপত্তি বা মন্তব্যগুলো তুলে ধরতে চায়।
আর এই সুযোগ ঘটে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। এখানে নিজেদের মতামত প্রকাশ করা যায়। একটি দ্বি-পাক্ষিক যোগাযোগ গড়ে ওঠে।
এছাড়া ভোট যেহেতু ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটিতে হতে যাচ্ছে, সে কারণে প্রচারের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটকে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ এই দুটো নগরীই ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বা গতির দিক থেকে বেশ এগিয়ে।
ফলে অন্যান্য জায়গার তুলনায় এই দুই সিটি কর্পোরেশনে এর প্রভাব বেশি হবে সেটা অনস্বীকার্য বলে উল্লেখ করেন মি. রহমান।- বিবিসি