কেনিয়ার গারিসা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে আল-শাবাবের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৭-এ দাঁড়িয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সামরিক অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।
খবর আলজাজিরা ও বিবিসির।
সোমালিয়াভিত্তিক আল-শাবাব গত বৃহস্পতিবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে হামলা চালায়। শিক্ষার্থীদের জিম্মি ও গোলাগুলির পর দেশটির সামরিক বাহিনী উদ্ধার অভিযান চালায়। ওই দিন সন্ধ্যায় এ অভিযান শেষ হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় ৭৯ শিক্ষার্থী আহত ও ৫৮৭ জনকে মুক্ত করা হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ এনকায়জারি জানিয়েছেন, চার হামলাকারী শরীরে পেঁচিয়ে রাখা বোমার মাধ্যমে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই হামলাকারীরা নিহত হওয়া ছাড়াও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা লাশগুলোর পরিচয় নির্ণয়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সংগঠন আল-শাবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারা শুধু খ্রীষ্টান শিক্ষার্থীদের হত্যা করছে। মুসলিমদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার পর পরই সোমালিয়ার সীমান্তসংলগ্ন গারিসা, ওয়াজির, মান্দেরা ও তানা রিভার বিভাগে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটিতে হামলার ঘটনাকে সন্ত্রাসী ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতা’ দমনে কেনীয় সরকারকে সহযোগিতা করতে সংস্থাটি প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও আল-শাবাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেনীয় সরকারকে সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
দেশটিতে বিগত কয়েক দশকে হামলায় হতাহতের সংখ্যার দিক থেকে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘটনা। এর আগে ১৯৯৮ সালে দেশটির রাজধানী নাইরোবিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসকে লক্ষ্য করে আল-কায়েদার চালানো হামলায় ২১৩ জন নিহত হয়েছিল।