নারায়নস্বামী শ্রীনিবাসন- ক্রিকেট বিশ্বের ‘বিষপোড়া’। ভারতীয় এই সংগঠকের হাড়ির খবর ক্রিকেট বিশ্বে নতুন কিছু নয়। পারিবারিকভাবেই সাবেক এই বিসিসিআই সভাপতি ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত। র্দুনীতির দায়ে বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন তিনি। আদালত কর্তৃক দুর্নীতিবাজের সার্টিফিকেট পেয়েছেন শ্রীনিবাসন।
মাঠের বাইরে খেলে, মাঠের খেলা নিয়ন্ত্রণে সিদ্ধহস্ত শ্রীনিবাসন এখন বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির চেয়ারম্যান। সংস্থার গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে গত ২৯ মার্চ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে মেলবোর্নের ৯০ হাজার দর্শক দুয়ো ধ্বনি দিয়েছে তাকে। দেশে ফিরে বুধবার আহম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) পদত্যাগ করেছেন আইসিসি সভাপতির পদ থেকে। এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রীনিবাসনকে র্দুনীতিবাজ, বিতর্কিত ও পচা লোক বলে উল্লেখ করেন লোটাস কামাল। সাবেক এই সভাপতি আরও বলেছেন, শ্রীনিবাসন দুর্গন্ধযুক্ত লোক। কথা বললে দুর্গন্ধ বের হয়।
হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বুধবার লোটাস কামাল সাংবাদিকদের শ্রীনিবাসন সম্পর্কে বলেন, “খেলা শেষে মেলবোর্নে, ওই বিতর্কিত মানুষের নাম যখন বলা হলো তখন দেশের ষোলো কোটি মানুষের কণ্ঠস্বর মনে হলো যেন সেখানে আছে। এই ষোলোকোটি মানুষের কণ্ঠের সঙ্গে মিলিয়ে নব্বই হাজার দর্শক বললো ‘মানি না, মানি না’। সেটিই আমাদের বিজয়। বাংলাদেশের মানুষ আবার বিশ্বের সাথে নিজেদের পরিচয় করিয়ে দিল। তাদের মনের কথা আরেকবার মেলবোর্নের দর্শকরা নিজেদের কথা জানিয়ে দিলেন ওই পঁচা লোকটাকে, ওই গন্ধময় লোকটাকে। সে নিগৃহীত হলো। সে ট্রফি দিয়ে কোনওরকম লুকিয়ে মাঠ থেকে বের হয়ে আসে। এখন কথাটি হচ্ছে যেই মানুষটি বিতর্কিত, বিভিন্নভাবে বিতর্কিত, বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত, আপনারা জানেন মামলাগুলো কী, এখন সেই মানুষটি যদি ক্রিকেটের দায়িত্বে থাকে তাহলে ক্রিকেট কিভাবে চলবে আপনারাই বলেন।”