SHARE

hasina parlamentবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে কোর্টের কোনো রায় এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সংসদকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মনিরুল ইসলামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। খবর বাসসের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আইন ও নিয়ম মানি, খালেদা জিয়া আইনও মানেন না, নিয়মও মানেন না। তিনি কিছুই মানেন না। আমরা আইন দ্বারা চলি এবং আইন রক্ষা করি। যেহেতু সংসদে আমরা আইন প্রণয়ন করি, সেহেতু আইন রক্ষা করাও আমাদের কর্তব্য। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আইন যা বলবে, তাই করা হবে।”

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “খালেদা জিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে কোর্টের কোনো রায় আসলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আইন ভঙ্গ করছেন বলে তো আমরা তা করতে পারি না। সরকারের সব সময় লক্ষ্য থাকবে আইন দ্বারা দেশবাসী যাতে সুরক্ষিত থাকে।”

বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া দেশের স্বাধীনতাই চাননি- এমন সন্দেহ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি অভিযোগ করেন, “পরাজিত শত্রুর দোসর হিসেবে বিএনপির নেত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে হানাদার পাকিস্তান বাহিনী যেমন পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করে এ দেশে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট চালিয়েছিল, আগুন দিয়ে মানুষের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল, তিনিও ঠিক একই পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন।”

প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, খালেদা জিয়ার আন্দোলনের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা একেবারেই নেই। বরং দিনের পর দিন হরতাল-অবরোধ করায় মানুষ তার হরতাল-অবরোধ প্রত্যাখ্যান করে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। এ জন্য তিনি দেশের মানুষকে অভিনন্দন জানান।

বিএনএফের সদস্য এস এম আবুল কালাম আজাদের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সারা দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন, তাই করা হচ্ছে। একজন আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ায়, আর আমরা রক্ষা করি। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের মানুষের জন্য তার যে দরদ থাকা প্রয়োজন, তার মধ্যে তা নেই। মানুষ পুড়িয়ে, দেশে ধ্বংসাত্মক ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তিনি কি পাচ্ছেন?”

স্বতন্ত্র সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জঙ্গি তৎপরতা দমনে পুলিশ, র্যা ব, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থা জনগণের সহযোগিতায় নিয়ে কাজ করছেন। জনগণের জানমাল রক্ষায় তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।”