সহিংসতা-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যের ডাক

SHARE

convesion28রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ সকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়। ছবি: শরিফুল হাসানএকাত্তরের পরাজিত শক্তি দেশের নাগরিকদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে।

রাজনীতির আবরণে দেশে এখন জঙ্গি তৎপরতা চলছে। এতে দেশ আজ গভীর সংকটে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সহিংসতা-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ।

আজ শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই জাতীয় সম্মেলন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। সকালে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শুরু হয়। এরপর গত ৮২ দিনের অবরোধ-সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপনের সময় তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের মালিক যে নাগরিকেরা, তাঁরা আজ ভয়াবহ সংকটে। ককটেল ও পেট্রল বোমার আগুনে নারী, শিশু নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ দগ্ধ হচ্ছেন। চোরাগোপ্তা হামলা, রেললাইনের ফিশ প্লেট খুলে ফেলা, যানবাহন ভাঙচুর, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সমাজে অস্থিরতা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না। বিঘ্নিত হচ্ছে পরীক্ষা।’

খলীকুজ্জামান বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে যে অবরোধ শুরু হয়েছে, ৮৩ দিন ধরে তা চলছে। কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, পেশাজীবী, সবাইকে আজ ভয়াবহ কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। ২০১৩ সালেও একই ঘটনা ঘটেছে। এমন সংকটময় মুহূর্তে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ গঠন করা হয়েছে। এটি উন্মুক্ত নাগরিক মঞ্চ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা দেশ গড়ার কাজ করব।

দেশের বর্তমান সংকট সমাধানে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কঠোরভাবে দমন, জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের অর্থের উৎস বন্ধ, সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করাসহ
সরকারের উদ্দেশে নয় দফা দাবি তুলে ধরেন খলীকুজ্জামান। রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাজনীতি করা ও পরস্পরের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান তিনি।

সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের সভাপতি এ কে এম এ হামিদ। তিনি বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে সচেতন নাগরিক সমাজ নীরব ভূমিকা পালন করতে পারে না। তাই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে এ জাতীয় কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছে।

সেক্টর কমান্ডার আবু উসমান চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ইব্রাহিম খালেদ, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহসভাপতি হেলাল মোর্শেদ, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সদস্য নিরাপত্তা বিশ্লেষক আবদুর রশীদসহ বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার কয়েক হাজার মানুষ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন পরিচালনা করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী পরিচালক নিলুফার বানু।