বৃটেনে ২০ জনে ১ জন কলেজছাত্রী যৌনকর্মী

SHARE

sex workerবৃটেনে উচ্চশিক্ষারত ছাত্রীদের ২০ জনের মধ্যে অন্তত ১ জন যৌন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি ওয়েল্সের সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনাল জাস্টিস এবং ক্রিমিনোলজি বিভাগ একটি সমীক্ষা করে, তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে।

কিন্তু এর কারণ কী? সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এদের মধ্যে বেশিরভাগ ছাত্রী বৃটেনের পড়াশোনার বিপুল ব্যয়ভার বহন করতে না পেরেই এই ব্যবসার দিকে আকৃষ্ট হন। কেউ ধার মেটাতে, কেউ বা নির্দিষ্ট লাইফস্টইল বজায় রাখতে দেহ ব্যবসার জগতে পা রাখেন। অধ্যাপক ট্রেসি স্যাগার যিনি এই সমীক্ষাটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি জানান, ‘আমাদের কাছে নির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে ছাত্রীরা অনেকেই দেহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বা ছিলেন। এদের বেশিরভাগই নিজেদের পরিচয় গোপন রাখেন। কারণটা খুবই স্পষ্ট। এক, সামাজিক সম্মান নিয়ে টানাটানি এবং দুই, বাবা-মা বা আত্মীয়স্বজনদের কাছে জবাবদিহি করা ইত্যাদির। এ ছাড়াও মানসিক ক্লেদকেও অস্বীকার করা যায় না।’

তিনি আরও বলেন, এটাও মাথায় রাখা প্রয়োজন যারা এই কাজে যুক্ত রয়েছেন তারা সকলে নিরাপদ না-ও হতে পারেন। তাদের সাহায্য করার জন্যই এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে।

সমীক্ষায় আরও একটি দিক উঠে এসেছে। শতাংশের হিসাবে এটা ৫ শতাংশ হলেও, আরও ২২ শতাংশ ছাত্রীরা এটা স্বীকার করেন, যে তারা এই ব্যবসায় যাওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। দেহ ব্যবসায় থাকা ছাত্রীদের অবশ্য এমন অনেকে আছেন যারা এখানে বেশ ভালো আছেন। তারা এটা স্বীকারও করেছেন, যে এখানে টাকাও আছে এবং দৈহিক সুখও রয়েছে। অনেকে আবার এই চক্র থেকে বেরোতে চেয়েও পারছেন না বিভিন্ন কারণে।

ট্রেসি আরও জানিয়েছেন, ‘এখনও এমন অনেক ছাত্রী রয়েছেন যারা সম্মানহানির ভয়ে এই পেশায় থাকার কথা বলতে চান না। আমরা যদি উদাহরণ রাখতে পারি তবে অদূর ভবিষ্যতে সাহায্যের আশ্বাস পেলে আরও অনেক ছাত্রী এগিয়ে আসবেন এবং যারা এই চক্র থেকে বেরোতে চান তারা উৎসাহী হবেন।’