শিল্পা শেঠির বিরুদ্ধে ৯ কোটি প্রতারণার অভিযোগ

SHARE

shilpaবলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি ও তার সংস্হার আরেক কর্তা শিল্পার স্বামী রিপুসূদন কুন্দ্রার বিরুদ্ধে ৯ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল৷ এম কে মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের অতিরিক্ত অধিকর্তা দেবাশিস গুহ শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন৷

উপনগরপাল (দক্ষিণ) মুরলীধর শর্মা জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর নির্দিষ্ট কয়েকটি ধারায় তদন্ত শুরু হয়েছে৷ অভিযোগে বলা হয়েছে, শিল্পার সংস্হা এসেন্সিয়াল স্পোর্টস অ্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেড, বান্দ্রা, মুম্বাই থেকে বলা হয়েছিল ৯ কোটি টাকা এককালীন জমা করলে ২ বছরে ১০ গুণ টাকা, অর্থাৎ ৯০ কোটি ফেরত পাওয়া যাবে৷ এজন্য চুক্তিও হয়েছিল৷ ৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার পর এসেন্সিয়াল স্পোর্টস অ্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেড এম কে মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডকে ৩০ লাখের ইকুইটি শেয়ার দেয়৷ পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, ওই শেয়ারগুলির কোনো অস্তিত্ব নেই৷ কেনাবেচা করা যাবে না৷ শেয়ার হোল্ডিংয়েও রাখা যাবে না৷ এর পরই এম কে মিডিয়া আদালতের দ্বারস্হ হয় গোটা বিষয়টি জানিয়ে৷ আদালত শেক্সপিয়র সরণি থানাকে নির্দেশ দেয় তদন্ত করতে৷

পুলিশ ১২০বি, ৪০৬, ৪১৮, ৪২০, ৩৮৮, ৩৮৯, ৫০৬ ধারায় মামলা শুরু করে৷ কেস নম্বর ১০৪৷ গত ২১ মার্চ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ শিল্পা শেঠির স্বামী রিপুসূদন কুন্দ্রার (রাজ) বিলেতে ৫টি সংস্হা রয়েছে৷ তিনিই তার ডিরেক্টর৷ তবে, কিছুদিন আগে ভিটা পিকচার্স ও ভেলোসিটি এন্টারটেনমেন্ট আপাতত বন্ধ৷ কুন্দ্রা কিছুদিন আগে দুটি সংস্হার ডিরেক্টর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন৷ রিপুসূদনের প্রথম পক্ষের স্ত্রী কবিতাও ওই দুই সংস্হার ডিরেক্টর৷ কুন্দ্রা আর কে কালেকশনস লিমিটেড থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন৷ ওই সংস্হার ডিরেক্টর পদে যোগ দিয়েছিলেন ২০০১ সালের ২৭ জুলাই৷ সরে দাঁড়ান ১১ অক্টোবর ওই বছরেই৷ বিলেতে ট্রেডকর্প নামে একটি সংস্হারও তিনি কর্তা৷

অবশ্য জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২৩ জুন লিকুইডেশনে চলে যায়৷ শুধু রাজ কুন্দ্রাই নন, ওই সমস্ত সংস্হার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন তার বাবা বালকৃষ্ণ কুন্দ্রা৷ যে সমস্ত সংস্হা সে সময় খোলা হয়েছিল, সেগুলির নাম প্ল্যানেট বলিউড, ধীর ডায়মন্ড, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ইউ কে কর্পোরেশন৷ সামান্য বাস কন্ডা’র থেকে বহু কোটি সম্পত্তির মালিক৷ নামীদামি গাড়ি, বিদেশে ঘন ঘন যাতায়াত৷ বিলাসবহুল জীবন৷ কিন্তু, হঠাৎ ৯ কোটি টাকার লেনদেনে আটকে গেলেন! প্রতারণার মামলায়! আশ্চর্য!