আজ বিশ্ব পানি দিবস। ১৯৯২ সালে জাতিসঙ্ঘের পরিবেশ ও উন্নয়নবিষয়ক ৪৭তম অধিবেশনে পানিসম্পদের সর্বাধিক গুরুত্বের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতি বছর এ দিনটি বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির পর ১৯৯৩ সাল থেকে পানি সংরণ ও উন্নয়নের ওপর গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং সংশ্লিষ্টদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
এ দিবসটিতে এবার জাতিসঙ্ঘ টেকসই উন্নয়ন কার্যক্রমে পানির সুষ্ঠু ব্যবহারের অপরিহার্যতা তুলে ধরে ৭টি সেক্টর নির্ধারণ করেছে।
সেক্টরগুলো হলো পানি ও স্বাস্থ্য, পানি ও প্রকৃতি, পানি ও নগরায়ন, পানি ও শিল্প, পানি ও শক্তিসম্পদ, পানি ও খাদ্য এবং পানি ও সমতা।
আর এই সেক্টরগুলোর প্রতিটিতেই পানির প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, এনজিও ফোরাম ফর ড্রিংকিং ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্ব ব্যাংকের ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রোগ্রাম সম্মিলিতভাবে দেশব্যাপী বিশ্ব পানি দিবস পালনের কর্মসূচি নিয়েছে।
এ উপলক্ষে বানচিডের (ইঅঘঈওউ) উদ্যোগে ‘পানি এবং টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এতে প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক এবং সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন) রোববার সকালে এক মানববন্ধনের আয়োজন করেছে।
মানববন্ধনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মূল ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।