পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন ছাত্রলীগের এক নেতা।
বুধবার দুপুরে উপজেলার মুলাডুলি স্টেশন পাড়ায় এ গোলাগুলির ঘটনায় দুই গ্রুপের আরো অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
নিহত ছাত্রলীগ নেতার নাম বাধন খন্দকার (২৫)। তিনি মুলাডুলি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা এবং স্টেশনপাড়ার বাবুল খন্দকারের ছেলে। বাধনের চাচা মিলন খন্দকার মুলাডুলি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশের ঈশ্বরদী সার্কেলের এএসপি মো. শাহনুর আলম পাটোয়ারী এ বিষয়ে জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে মুলাডুলি স্টেশন এলাকায় ‘সান্ধ্য পুকুর মেলা’ শুরু হয়। মেলায় বিভিন্ন ধরণের দোকান ও জুয়ার আসর বসে। বুধবার বেলা ১টার দিকে যুবলীগ নেতা মিলন খন্দকারের সমর্থকরা মেরার নিয়ন্ত্রণ নিতে ওই এলাকায় যায়। তখন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাথথারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিঠু ও হাবিবুর রহমান ওরফে মৎস হাবিবের সমর্থকরা বাধা দেয়। বাতবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। এসময় অন্তত ১০/১৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এসময় মিলন গ্রুপে থাকা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা বাধন খন্দকার গুলিবিদ্ধ হন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে বেলা ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ও আহত কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সংঘর্ষের পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাধনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো ও এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।