অপহরণের পর বিধবাকে গণধর্ষণের অভিযোগ, ছয়দিন পর উদ্ধার

SHARE
rapebবাগেরহাটের রামপালে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক বিধবা নারীকে অপহরণের পর নৌকায় নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ছয়দিন পর গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাত দুইটায় রামপাল থানায় এ ঘটনায় অজ্ঞাত চার যুবককে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ওই নারীর দেবর।
এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার বিধবা নারী উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের বড় সন্নাসী ফুলতলা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার ১২ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার বিধবা নারী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে দেবরের সঙ্গে ডাকরা গ্রামে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। গান শোনার মাঝখানে রাত ১০টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে আড়ালে গেলে অন্ধকারে ওৎ পেতে থাকা কতিপয় যুবক তাকে অপহরণের চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে তখন তার দেবরকে এসময় বেদম মারধর করে ওই যুবকরা। পরে তাকে তুলে একটি নৌকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে চার যুবক। এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
বিধবা ওই নারী আরো বলেন, ‘অচেতন হয়ে পড়ার পর প্বার্শবর্তী কুমারখালী গ্রামে আমার এক বোনের আমাকে রেখে আসে যুবকরা। কিন্তু বিষয়টি যেন কাউকে না জানাতে পারি- সেজন্য ওই যুবকরা আমাকে নজরবন্দি করে রাখে। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তালুকদার নাজমুল কবীর ঝিলামের উদ্যোগে স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে উদ্ধার করা হয়।’
রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার নাজমুল কবীর ঝিলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ডাকরা গ্রামের কতিপয় যুবক আমার ইউনিয়নের স্বামীহারা এক নারীকে অপহরণ করে গনধর্ষণের পর অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে খবর পাই। আমার লোকজন বিষয়টি জানতে সেখানে গেলে ওই দুর্বৃত্ত যুবকরা পালিয়ে যায়। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, ধর্ষণের শিকার ওই বিধবা নারীকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে তার ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় চার যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের সনাক্ত করতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
মামলা তদন্ত কর্মকর্তা রামপাল থানার এসআই আবুল বাশার বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষার পর এবার ওই নারীর জবানবন্দি নেয়া হবে। অভিযুক্ত চার যুবকের সন্ধানে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।