মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার আলোচিত তাছলিমা হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত কামরুল (২২) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আমলি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় কামরুল। এতে সে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাছলিমাকে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। কামরুলের বাড়ি কুলাউড়া পৌর শহরের জয়পাশা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কামরুল কুলাউড়ার একটি চায়ের দোকানে শ্রমিক হিসেবে এবং তাছলিমা পৌর শহরের উছলাপাড়া এলাকার একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। তাছলিমার মা সাহিদা বেগমও গৃহকর্মীর কাজ করেন। গত ৫ মার্চ সন্ধ্যার দিকে তাছলিমা ওই বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। পর দিন ৬ মার্চ সকালে শহরের জয়পাশা এলাকায় তেলিপুকুর পাড়ের পৌর করবস্থানের পাশে তার লাশ পাওয়া যায়।
পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। সুরতহাল প্রতিবেদনে তাছলিমার গলা ও হাতের কব্জি কাটা এবং পিঠে একাধিক ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করে পুলিশ।
ওই দিন রাত ৯টার দিকে তার মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে কামরুলের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে তিনি বলেন, ‘কামরুল বেশ কিছু দিন ধরে তাছলিমাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সে একাধিকবার তাছলিমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তাছলিমা তা প্রত্যাখান করে। এর জেরে কামরুল তাঁর সহযোগীদের নিয়ে তাছলিমাকে হত্যা করে।’
এপর গত ১০ মার্চ ভোরে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুর গ্রাম থেকে কামরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ তাকে আদালতে হাজির করা হলে তাছলিমা হত্যার কথা স্বীকার করে কামরুল।