যশোরে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আপন নামে কনস্টেবলকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার বিকালে যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেনের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ওই ছাত্রী।
আটক আপন বাঘারপাড়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা। জবানবন্দিতে ওই ছাত্রী জানান, আপন ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু থানায় কর্মরত। মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে পরিচয়। আপন নিজেকে পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পাঁচ ছয়দিন আগে আপন তাকে কালীগঞ্জের বারবাজারে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর খুলনার ডুমুরিয়া এবং দিঘলিয়া এলাকায় নিয়ে গিয়েও একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
জানা গেছে, শনিবার ওই ছাত্রী চৌগাছা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করলে থানার এসআই নাহিয়ান হোসেন ওইদিন রাত ২টার দিকে হরিণাকুণ্ডু থানা থেকে আপনকে আটক করেন। নাহিয়ান হোসেন জানান, মামলা হাতে পাওয়ার পর রাতে কনস্টেবলকে আটক করা হয়। রোববার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নাহিয়ান আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আপন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ কারণে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তুতি চলছে।
ওই ছাত্রী যশোর সরকারি এমএম কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষে পড়েন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, ওই কলেজ ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা রোববার সম্পন্ন হয়েছে। য
শোর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক আলমগীর কবির ডাক্তারি পরীক্ষার কথা নিশ্চিত করে জানান, ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।