মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ৭ মাস ছোট নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ

SHARE

trolar16দক্ষিণের উপকূলজুড়ে শুরু হয়েছে ডেঞ্জার মৌসুম। দুর্ঘটনা এড়াতে বরিশাল বিভাগের ভোলা ও পটুয়াখালী জেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার জুড়ে আগামী ৭ মাস ছোট নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।

১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৮টি নৌরুটে ট্রলার ও ছোট লঞ্চের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

রুটগুলো হলো-মেঘনা নদীর ইলিশা-‌মজু চৌধুরীরহাট, চর আলেকজান্ডার-দৌলতখান, চর আলেকজান্ডার-মির্জাকালু, চর আলেকজান্ডার-আসলামপুর, মনপুরা-তজুমদ্দিন, মনপুরা-শশীগঞ্জ, দশমিরা-চরকলমী, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর দশমিনা-চরমন্তাজ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশালের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল বাশার মজুমদার বলেন, বর্ষা মৌসুমে মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই প্রতি বছর বর্ষা এলেই ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঞ্জার মৌসুম ঘোষণা করা হয়।

তিনি আরো জানান, এসময় বে-ক্রুজিং সনদ ছাড়া নৌযান এসব রুটে চলাচল বন্ধ রাখতে মালিকদের ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ৫ মার্চ চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সংশিষ্ট এলাকার পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় চলাচলের জন্য সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের অনুমোদন না থাকায় ১৪টি লঞ্চের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব রুটে চলাচলের জন্য সি-ট্রাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি বরিশালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক গোপাল চন্দ্র মজুমদার বলেন, এরই মধ্যে বরিশাল-ইলিশা-মজু চৌধুরীরহাট রুটে খিজির-৭ ও ৮ নামে ২টি সি-ট্রাক দেওয়া হয়েছে। খিজির-৫ ও শেখ কামাল নামে আরো ২টি সি-ট্রাক অচিরেই এসব রুটে যুক্ত হবে।

তিনি জানান, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা-শশীগঞ্জ রুটের সি-ট্রাক শহীদ শেখ মনি ডক-ইয়ার্ডে রয়েছে। মেঘনা নদীর চর আলেকজান্ডার-মির্জাকালু রুটে এখনও কোনো জাহাজ দেওয়া হয়নি। বরিশাল-লক্ষ্মীপুর-মজু চৌধুরীরহাট রুটের সি-ট্রাক খিজির-৫ এর এখনও মেরামত কাজ চলছে।

যেসব রুটে এখনও সি-ট্রাক দেওয়া যায়নি, সেগুলোর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজ উল মাওলা।

প্রতি বছর ডেঞ্জার মৌসুমে লঞ্চ-ট্রলার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও উপকূলীয় এলাকাগুলোতে এ নির্দেশ অমান্য করার ঘটনাই বেশি ঘটে। ঝুঁকি নিয়ে এসব রুটে লঞ্চ ও ট্রলার চলে প্রতিনিয়ত।