গুম-খুন হজম করে সরকার ওপরের দিকে হাত বাড়াচ্ছে: বুলু

SHARE

buluবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধানের বিষয়ে উচ্চ আদালতের রুল সত্ত্বেও সরকার নির্বিকার বলে অভিযোগ করেছেন আরেক যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেছেন, গুম-খুন হজম করতে করতে সরকারের দুঃসাহস  ক্রমাগত ওপরের দিকে হাত বাড়াচ্ছে।

রোববার বিএনপি ও ২০ দলের পক্ষে এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন বুলু।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ‘চোখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে সালাহ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পাঁচ দিন পরও’ তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি বলে অভিযোগ করে বুলু বলেন, “উপরন্তু সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গ্রেফতারের কথাও অস্বীকার করে চলেছে। সালাহউদ্দিনের স্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত  এই উদ্বেগজনক ঘটনার ব্যাপারে রুল জারি করলেও সরকার সম্পূর্ণ নির্বিকার।”

বিবৃতিতে বলা হয়, “যতই সময় যাচ্ছে, সালাহ উদ্দিনের নিরাপত্তার ব্যাপারে উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে। কারণ এ সরকারের আমলে বিরোধী দলের শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের পর অস্বীকার এবং গুম ও খুন করার ভয়ংকর নজির স্থপিত হয়েছে। আবার গ্রেফতারের কথা অস্বীকারের পর নানা নাটক সাজিয়ে আটক দেখানোরও উদাহরণ রয়েছে।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আলী, সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হিরু, বিএনপি নেতা হুমায়ুন পারভেজ, ঢাকার নির্বাচিত কমিশনার চৌধুরী আলমের প্রসঙ্গ টেনে বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়, “সালাহ উদ্দিনের ব্যাপারে এ সরকার কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তার ভাগ্যে কী ঘটেছে বা ঘটতে যাচ্ছে তা আমরা জানি না। তবে আমরা তাকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেতে চাই।”

বুলু বলেন, “সালাহ উদ্দিনকে খালেদা জিয়া ময়লার বস্তায় ভরে পাচার করে দিয়ে থাকতে পারেন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অবাস্তব, আজগুবি ও নিষ্ঠুর পরিহাস করেছেন, তার নিন্দা জানাবার ভাষা আমাদের নেই। দেশবাসী তার কাছ থেকে দায়িত্বশীল বক্তব্য আশা করে; দায়িত্বহীন ও বিকৃত মানসিকতার মশকরা নয়। এমন একটি গুরুতর বিষয় নিয়ে এ ধরনের বিদ্রূপাত্মক উক্তি করে সরকার তার দায় এড়াতে পারে না।”

বিবৃতিতে বলা হয়, “বহু রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে অপহরণ, গুম ও খুন করে তা হজম করতে করতে বর্তমান অবৈধ সরকারের দুঃসাহস এতটাই বেড়েছে যে, তারা ক্রমাগত ওপরের দিকে হাত বাড়াচ্ছে। সালাহউদ্দিন এদের নিষ্ঠুর দুঃসাহসিকতার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত।”

অনতিবিলম্বে সালাহউদ্দিনকে মুক্তি দেয়া কিংবা আদালতে হাজির করার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে হুঁশিয়ার করা হয়, অন্যথায় উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।