রাসায়নিক কারখানার নির্গত গ্যাসে অসুস্থ ৭

SHARE

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি রাসায়নিক কারখানা থেকে গ্যাস নির্গত হয়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত সাতজন অসুস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটিতে রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

অসুস্থ ব্যক্তিরা হলেন ৯ বছরের সামিয়া আক্তার, সিরাজুল ইসলাম, মনু মিয়া মাসুদা বেগম, ওসমান আলী, আমীর আলী ও মল্লিকা। তারা সবাই মুড়াপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।

আহতদের প্রথমে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

অসুস্থ হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজমুল আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় বুক জ্বালাপোড়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাতজন হাসপাতালে আসেন। তাদের অবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। ওই সাতজনের শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে কেমিক্যাল কারখানাটি থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। বাতাসে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়লে মুড়াপাড়ার বানিয়াদি, বলাইনগর, ফরিদ আলীরটেক, মঙ্গলখালী ও মকিমনগর গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ ওই সাতজনকে সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়৷

কারখানাটির নিজেদের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী সেখানে সালফিউরিক অ্যাসিড, অ্যালুমিনিয়াম সালফেট, জিঙ্ক সালফেট ও ম্যাগনেসিয়াম সালফেটসহ ৬ ধরনের কেমিক্যাল তৈরি হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘কারখানাটির পরিবেশগত ছাড়পত্র আছে। তবে ছাড়পত্র দেয়ার সময় সেখানে কোনো আবাসিক এলাকা ছিল না। গ্যাসের কারণে স্থানীয়দের সমস্যা হলে শিগগিরই কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

রাসায়নিকের কারণে স্থানীয়দের অসুস্থের বিষয়টি জেনেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ নুসরাত জাহান।

তিনি বলেন, ‘কারখানার বিষয়ে আগে থেকে জানা ছিল না। স্থানীয় কয়েকজনের অসুস্থতার খবর পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কারখানা আবাসিক এলাকায় থাকতে পারে না।’

এ বিষয়ে জানতে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলামের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।