ম্যাক্সওয়েলের বিস্ফোরক সেঞ্চুরির সঙ্গে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি। ফলে সিডনিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার বিশাল সংগ্রহ। হাফ সেঞ্চুরি তিনটি করেছেন মাইকেল ক্লার্ক, স্টিভেন স্মিথ ও শেন ওয়াটসন। শেষদিকে দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। ৯ উইকেটে ৩৭৬ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ জিততে তাই শ্রীলঙ্কাকে মোকাবিলা করতে ৩৭৭ রানের চ্যালেঞ্জ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে আসা অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা খুব ভালো ছিল না। ৪১ রানেই দুই ওপেনার ওয়ার্নার (৯), ফিঞ্চকে (২৪) ফিরিয়ে দিয়ে স্বাগতিকদের চেপে ধরেছিল শ্রীলঙ্কা। স্পিনের সামনে অস্ট্রেলিয়ার দুই সেরা ব্যাটসম্যান মাইকেল ক্লার্ক ও স্টিভেন স্মিথ দলের হাল ধরেন। তাদের ১৩৪ রানের সময় উপযোগী জুটি স্বাগতিকদের পাইয়ে দেয় বড় রানের ভিত। তাদের সাবলীল ব্যাটিং দৃশ্যপট পাল্টে দেয়।
২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ম্যাক্সওয়েল। উইকেটের চারপাশে তার ঝড়ো ব্যাটিং দিশেহারা করে তোলে শ্রীলঙ্কাকে। ম্যাক্সওয়েলকে থামানোর অনেক চেষ্টা করেও সফল হয়নি লঙ্কানরা। সিডনিতে চারÑছক্কার বৃষ্টিতে মেতে উঠেন ম্যাক্সওয়েল। ৫১ বলে তিন অংকের ঘর স্পর্শ করেন ম্যাক্সওয়েল। এটি তার প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ানদের পক্ষেও অবশ্য দ্রুততম।
কয়েকবার জীবন পেয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল সেঞ্চুরির আগে। তবে বেশিরভাগ সময়ই ফিল্ডাররা তার ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি অনেক চেষ্টার পরও। সাঙ্গাকারা, থিসেরা পেরেরা লম্বা দূরত্ব দৌড় চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু বলের নাগাল ঠিকমত পাননি। সেঞ্চুরির পর থিসেরা পেরেরার ফুল টস বলে মিড অনে যে ক্যাচ তুলেন ম্যাক্সওয়েল সেটি সহজেই ধরেছেন মালিঙ্গা। ৫৩ বলে ১০টি চার ও ৪টি ছয়ে ১০২ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন ম্যাক্সওয়েল।
রান খরায় থাকা ওয়াটসনও ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। ফকনার রানের খাতা খোলার আগে রান আউট হন। ইনিংস শেষের এক ওভার আগে ওয়াটসন চান্দিমালের হাতে ধরা পড়েন। তিনি ৪১ বলে ৬৭ রান (৭ চার, ২ ছয়) করেন। হ্যাডিন ৯ বলে ২৫ বলের ক্যামিও খেলেন। শ্রীলঙ্কার মালিঙ্গা ও থিসেরা পেরেরা ২টি করে উইকেট পান।