বিএনপি চেয়ারপরসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের দিকে সবার দৃষ্টি।কার্যালয়ের সামনে নিরাপত্তাব্যবস্থা বিগত কয়েক দিনের মতো শিথিল। সকাল থেকেই এলাকাটি বিপুল সংখ্যক সংবাদকর্মীর উপস্থিতিতে সরব।
আজ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এ দুটি মামলায় এর আগের তারিখে হাজির না হওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩।
কার্যালয়ের সামনে পুলিশের কয়েকজন কনস্টেবলকে খোশ-গল্প ও পায়চারী করে নিরস সময় কাটাতে দেখা গেছে।
কার্যালয়ের সামনের ৮৬ নম্বর সড়ক দিয়ে মানুষজন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছেন। তবে পথচারী ও আশপাশের মানুষের মধ্যে এই কার্যালয় ঘিরে একধরনের কৌতূহল রয়েছে। উৎসুক চোখে অনেকেই পরিস্থিত বোঝার চেষ্টা করছেন।
ভেতরে নিরবতা থাকলেও কার্যালয়ের সামনে রয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিপুল সংখ্যক কর্মী। তাদের সক্রিয় উপস্থিতিতে এলাকাটি সরব।
সরকার পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ নিজ কার্যালয়ে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলে খালেদা জিয়া আজ আদালতে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের ব্যাপারে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তারা কোনো সবুজ সংকেত পায়নি। খালেদা জিয়ার বাসায় তল্লাশি বা তাকে গ্রেফতারের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আসেনি। এ ব্যাপারে পুলিশের কোনো প্রস্তুতিও নেই।
নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে ককটেল হামলার মামলায় খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে তল্লাশির জন্য আদালত থেকে পুলিশ অনুমতি পেলেও কবে-কখন তল্লাশি করা হবে, সেটাও কর্মকর্তারা নিশ্চিত করছেন না।
এ অবস্থায় খালেদা জিয়া আজ আদালতে যাবেন কি না, এ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
খালেদা জিয়া দুই মাস ধরে তার কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। বিএনপির দাবি, তাকে ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখা হয়েছে। শুরুতে নেতা-কর্মীদের ওই বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হলেও ২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেখানে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের ভয়ে এখন আর নেতা-কর্মীরা সেখানে যাচ্ছেন না।
খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিত চেয়ে গতকাল হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আরেক আইনজীবী ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন।