রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে আজ কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, “খালেদা জিয়া সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র করছেন। খালেদা জিয়া ও তার নেতৃত্বে ২০ দল দেশ, স্বাধীনতা, মানবতা ও গণমানুষের শত্রু।”
মতিয়া চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক সেই মুহূর্তে খালেদা জিয়া স্বাধীন বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর জন্য হরতাল-অবরোধ দিয়ে যাচ্ছে। একের পর এক পেট্রলবোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। তাদের প্রথম টার্গেট স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী। নিরীহ ড্রাইভার ও খেটে খাওয়া মানুষ।”
গত ২০ জানুয়ারি চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের ডা. দীপু মনি তা সমর্থন করেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ ২৪তম দিনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, সরকারি দলের মো. তাজুল ইসলাম, তালুকদার মো. ইউনুস, ড. হাছান মাহমুদ, গোলাম দস্তগীর গাজী ও জেবুন্নেছা আফরোজ আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, “দুর্নীতি জঙ্গিবাদের প্রাণভোমরা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চায়।”
তিনি বলেন, “তারা মুক্তিযুদ্ধের বদলা নিতে চায়। দেশ যেন অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারে সেজন্য তারা তৎপর। তারা যুদ্ধপারাধীদের বিচার বানচাল করতে চায়। বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের দেশ হতে দেবে না।”
কৃষিমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি বাংলাদেশকে অন্ধকারে রাখতে চায়। তারা তো রাখবেই। কেননা বিএনপি হচ্ছে অন্ধকারের জীব।”
গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার ‘অবরুদ্ধ’ থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নিজেকে নিজে অবরুদ্ধ করে নাটকের নায়িকা ছাড়া খালেদা জিয়া দর্শকদের কিছু দিতে পারছেন না। দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতির সকল সূচক এখন ঊর্ধ্বমুখী।”
সুশীল সমাজের সমালোচনা করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “কতিপয় বুদ্ধিজীবী অনবরত সংলাপ সংলাপ করছেন। কিন্তু পেট্রোল বোমায় মানুষ মারা হচ্ছে সে বিষয়ে কথা বলেন না তারা। কারণ, এই বোমা মারার কথা বললে যে খালেদার উপর বর্তায়।”