শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের একটি সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তারা সঠিকভাবে শর্ত পূরণ করতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর মাঠে অনুষ্ঠিত আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) ১৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ওই সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো তাদের ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এভাবে তারা বেশি দিন চলতে পারবে না।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের বাস্তবতা এবং জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসহ সব ধরনের ব্যয় একটি সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখুন।
তিনি বলেন, আমরা সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা ও সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণার ওপর জোর দিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমান অর্জন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ সরণ। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। তিনি নতুন ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান। সমাবর্তনে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য কারমেন জেড ল্যামাগনা ও বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীন।
এবারের সমাবর্তনে ২ হাজার ৭৫৫ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে তিনজনকে আচার্য স্বর্ণপদক, আটটি আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক ও ১৪টি উপাচার্যের পদক দেওয়া হয়।