আইসিসির ‘হল অব ফেম’ এ মার্টিন ক্রো

SHARE

martinnnনিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও ১৯৯২ বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা তারকা মার্টিন ক্রো’কে আইসিসির ‘হল অব ফেম’ এ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ৭৯তম সদস্য হিসেবে ক্রিকেটের মর্যাদাপূর্ণ এই তালিকায় যুক্ত হলেন এই সাবেক ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

শনিবার অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ চলার বিরতিতে ক্রো’কে এই সম্মানজনক ক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভূক্ত করে আইসিসি।

নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে তিনি আইসিসির হল অব ফেমে জায়গা পেলেন। এর আগে ব্লাব ক্যাপসদের হয়ে রিচার্ড হ্যাডলি ও ডেবি হ্যাকলি এর আগে এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হন।

শনিবার অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ চলার বিরতিতে ক্রো’কে এই সম্মানজনক ক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভূক্ত করে আইসিসি। আইসিসির ডিরেক্টর ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান ওয়ালি এডওয়ার্ডস ক্রো’র হাতে আইসিসির হল অব ফেম’এর স্মারক ক্যাপ তুলে দেন।

শনিবার নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি পরিবারকে নিয়ে দেখতে আসেন মার্টিন ক্রো। আইসিসির হল অব ফেম এ অন্তর্ভূক্ত হতে পেরে স্বভাবতই ‘উচ্ছ্বাস’ ঝরে তার কণ্ঠে।

ক্রো বলেন, “এটি অত্যন্ত আনন্দিত ব্যাপার যে, যেই মাঠে ১৯৮২ সালে অভিষেক হযেছিল সেই মাঠে পরিবারের সামনে আইসিসি হল অব ফেম এ অন্তর্ভূক্ত করে আমাকে সম্মানিত করলো। এই দিনটি আমি আজীবন মনে রাখবো।”

১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়েলিংটনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মার্টিন ক্রোর টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। দীর্ঘ ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি দেশের হয়ে ৭৭টি টেস্ট খেলেন। ৭৭ টেস্টে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭টি সেঞ্চুরিতে ৪৫.৩৬ গড়ে ৫ হাজার ৪৪৪ রান করেন তিনি। এর মধ্যে ১৯৯১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়েলিংটনে ২৯৯ রানের অনবদ্য এক ইনিংস উপহার দেন ক্রো, যা দীর্ঘ দুই যুগ ধরে কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংস ছিল।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে ৩০২ রানের ইনিংস খেলে রেকর্ডটি নিজের দখলে নেন বর্তমান কিউই অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১৪৩ ওয়ানডে খেলা মার্টিন ক্রো ৪টি সেঞ্চুরি ও ৩৪টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩৮.৫৫ গড়ে ৪ হাজার ৭০৮ রান করেন। দেশের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপে (১৯৮৩, ১৯৮৭ ও ১৯৯২) খেলা ক্রো ১৯৯২ বিশ্বকাপে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সেমিফাইনালে নিয়ে যান। যদিও সেমিতে অকল্যান্ডে নিজেদের মাঠে ইনজামামের ব্যাটিং নৈপুণ্যে পাকিস্তানের কাছে হেরে বিদায় ঘটে কিউইদের।

নিউজিল্যান্ডকে ১৬টি টেস্ট ও ৪৪টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেন এই সাবেক ডানগাতি কিউই ব্যাটসম্যান।

প্রসঙ্গত, আইসিসির পক্ষ থেকে কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের ক্রিকেটীয় সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরুপ এই তালিকায় স্থান দেয়া হয়।