সালমান খানের ঘনিষ্ঠতা, এবার বিষ্ণোই গ্যাংয়ের টার্গেটে কপিল শর্মা

SHARE

সালমান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই এবার লক্ষ্যে বলিউড কৌতুকশিল্পী কপিল শর্মা। কানাডায় তাঁর মালিকানাধীন ক্যাফেতে এক মাসের ব্যবধানে দু’বার গুলি চালিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। গ্যাং সদস্য গোল্ডি ধিঁলো প্রকাশ্য অডিও বার্তায় হামলার দায় স্বীকার করেছেন।

অডিও বার্তায় হুমকির সুরে বলা হয়েছে, “সালমান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরেই কপিল শর্মার ক্যাফেতে গুলি চালানো হয়েছে। এবার বুকে সোজা গুলি চলবে। ভবিষ্যতে কেউ সালমানের সঙ্গে কাজ করলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।”
বলিউডে আতঙ্ক, পদক্ষেপ ইন্ডাস্ট্রির

সম্প্রতি বলিউড তারকাদের ওপর হামলার ঘটনা বাড়তে থাকায় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একাংশ প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কপিল শর্মা, সালমান খান, সাইফ আলি খান ও রাজনীতিক বাবা সিদ্দিকিকে ঘিরে যেভাবে একের পর এক হুমকি ও হামলার ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে গোটা বিনোদন জগতে।

ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “পরবর্তী লক্ষ্য কে হতে পারে—তা নিয়ে সবাই আতঙ্কে। এটা শুধু তারকাদের নয়, ইন্ডাস্ট্রির হাজার হাজার মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে ফেলছে।” তারা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছে, যাতে তিনি বিষয়টি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে তারকাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
কানাডায় কপিলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরপর হামলা

কানাডায় ব্যবসা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে কপিল শর্মা একটি ক্যাফে চালু করেন। উদ্বোধনের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই আসে হুমকি। ৯ জুলাই গভীর রাতে প্রথমবার সেখানে গুলি চালানো হয়। এরপর ১ আগস্ট রাতে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয় তাঁর রেস্তোরাঁয়।

ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, দ্বিতীয় হামলায় অন্তত ২৫ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। যদিও হতাহতের কোনো খবর নেই, তবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় ভারতীয় কমিউনিটিতে।
সালমানের পুরনো শত্রুতা, এখনও চলছে হুমকি

সালমান খান ও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের মধ্যে বৈরিতার সূচনা ১৯৯৮ সালের রাজস্থানে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার পর থেকেই। সেই মামলার জেরে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের রোষানলে পড়েন সালমান। এরপর থেকেই তাঁকে ঘিরে একের পর এক হুমকি ও হত্যাচেষ্টা চলে আসছে।

সর্বশেষ, সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে ভারতের প্রবীণ রাজনীতিক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করেছে বিষ্ণোই গ্যাং।
নিরাপত্তা জোরদার দাবি

এতসব ঘটনার পর বলিউডে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি উঠেছে। তারকাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই। কপিল শর্মার ওপর হামলা প্রমাণ করে, শুধু ভারতে নয়—বিদেশেও এখন তারকারা নিরাপদ নন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না এলেও, বিষয়টি ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে রয়েছে বলে জানা গেছে। সালমান খান ও কপিল শর্মার নিরাপত্তা ঘিরে এখন বলিউডে চরম সতর্কতা।